সরকারি ফোন ব্যবহার করেন না পাসপোর্টের ডিডি নুরুল হুদা
ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদা তার অফিসের সরকারি টেলিফোন নম্বর ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করছেন না। ফলে সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাসহ সেবা নিতে আসা জনগণ ভোগান্তিতে পড়লেও অভিযোগ করার জন্য তাকে খুঁজে পান না।
নুরুল হুদা ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসে যোগদান করেন। তার যোগদানের পর থেকে গত চার মাসে পাসপোর্ট অফিসের সরকারি টেলিফোন ও মোবাইলে ওই পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তার কক্ষে থাকা টেলিফোনটিতে কল দিলে অধিকাংশ সময় কল পৌঁছায় না। আর মোবাইলটি এই চার মাস ধরে রিসিভ করেন অফিসের সুপারেনটেনডেন্ট শওকত আলী মোল্যা।
ফোন ব্যবহার না করা বিষয়ে শওকত আলী জানান, স্যার আসার পর থেকে ফোনটি আমি ব্যবহার করছি। তা ছাড়া একাধিক বার এই মোবাইলে ফোন করলে শওকত আলী নিজে ফোন রিসিভ করেছেন। আর টেলিফোনটিতে কেন কল পৌছায় না, তা তার জানা নেই।
সেবা নিতে আসা প্রতাপ কুমার নামের এক ব্যক্তি জানান, দুই মাস ঘুরেও পাসপোর্ট পাইনি। অনেকে আবার বেশি টাকা দিয়ে পাসপোর্ট পাচ্ছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে ডিডির রুমে গেলে শুনলাম তিনি ডিসি অফিসে মিটিং এ গেছেন। তারপর তার মোবাইলে ফোন করলে অন্য ব্যক্তি ধরেন। এভাবেই দিনের পর দিন ঘুরছি।
সঞ্জিব দাস নামের এক ব্যক্তি বলেন, উনি কিছু দালাল আর অফিসের কয়েকজন পেয়ারের লোক ছাড়া কথা বলেন না। এতে অনেকের ভোগান্তি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন না। এভাবে একটি সরকারি দফতর চলতে পারে না।
ফরিদপুরের সিনিয়র সাংবাদিক পান্না বালা বলেন, অফিস প্রধানের মোবাইল বা টেলিফোন অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে না। তার অধীনস্থ কাউকে দিয়েও ব্যবহার করানো যাবে না। সেবা দিতে এসে এভাবে দূরে থাকার মানে হয় না। এতে যদি কেউ তাকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলে তা অমূলক নয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে সরকারি টেলিফোনে চেষ্টা করা হলে ডিডি নুরুল হুদাকে পাওয়া যায়নি। আর মোবাইলে ফোন করলে সেই শওকত আলী বলেন, স্যার এই মোবাইলটি ব্যবহার করেন না।