সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল রামগঞ্জ আদালত, ছবি: বার্তা২৪.কম

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল রামগঞ্জ আদালত, ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সেই চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল রামগঞ্জ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন নোয়াগাঁও গ্রামের জাকির। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সদস্য ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অনাস্থাপত্র দাখিল করেন।

বিজ্ঞাপন

বাদীর আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন মৃধা জানান, আদালতের বিচারক মামলাটি (সিআর-২৫/২০২০) আমলে নিয়েছেন। বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি তদন্তের জন্য নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সাক্ষীদের জবানবন্দি ও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার কেতুড়ি গ্রামের শামীম, নোয়াগাঁও গ্রামের মোজাম্মেল হক পলাশ, সাইফুল ইসলাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হারুন মিঝি ও বরিয়াইশের আনোয়ার ও অজ্ঞাত ৩ জন।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের জাকির ও জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে। সেই সুবাদে জাকিরের কাছ থেকে জয়নাল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। টাকা পরিশোধ না করায় জাকিরের বিরুদ্ধে জয়নাল নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানার কাছে মৌখিকভাবে বিচার দেন। পরে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাকিরকে ৯ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। ওই টাকা জয়নালকে সরাসরি না দিয়ে চেয়ারম্যানকে দিতে বলা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জাকির চেয়ারম্যানের ইউসিবি ব্যাংক হিসাবে ১ লাখ টাকা জমা দেন। ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট মো. মিন্টু ও বেলায়েত হোসেন বকুলের উপস্থতিতে জাকির চেয়ারম্যানকে ৮ লাখ টাকা দেন।

কিন্তু চেয়ারম্যান টাকাগুলো জাকিরের পাওনাদার জয়নালকে বুঝিয়ে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। গত ১১ জানুয়ারি টাকাগুলো জয়নালকে দিতে ফেরত চাইলে চেয়ারম্যান ও আসামিরা জাকিরকে মারধর করেন। একই সঙ্গে টাকাগুলোও ফেরত দেবে না বলে জানান চেয়ারম্যান। এ কারণে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাকির।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।