ফরিদপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে বৈদ্যুতিক তারে ফেলে হত্যার অভিযোগ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের মোড়াগ্রামে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

ওই গৃহবধূর নাম আয়শা বেগম (২২)। তিনি রুপাপাত ইউনিয়নের মোড়া গ্রামের ফরহাদ মৃধার(৩৫) স্ত্রী। তিনি এক ছেলের মা।

বিজ্ঞাপন

আয়শা বেগমের স্বামী ড্রেজার ব্যবসায়ী ফরহাদ মৃধা মোবাইল ফোনে জানান, তার বাড়ির উত্তর পাশে হারুন মৃধার গমের ক্ষেত। সম্প্রতি ওই ক্ষেতে হারুন মৃধা কীটনাশক দেন। ওই কীটনাশকের কারণে ফরহাদের কয়েকটি হাঁস-মুরগি মারা যায়।

এ ব্যাপারে তিনি (ফরহাদ) এলাকার মাতব্বরদের জানালে তারা কোনো ব্যবস্থা না নিলে তিনি নিকটবর্তী ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর জের ধরে গত শনিবার রাতে হারুন মৃধা, ফরহাদ মৃধা ও তার বাবার নামে বোয়ালমারী থানায় নারী নির্যাতনের দায়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ফরহাদ মৃধা অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হারুন মৃধা, চাচাতো ভাই আতিয়ার মৃধা, প্রতিবেশী মুন্নুমৃধা ও তাদের সহযোগীসহ আরও কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী আয়শা বেগমকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এ সময় আয়শা বেগমকে জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে পাশের একটি ক্ষেতে বিদ্যুতের ফাঁদে ফেলে আসে। এই ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

অভিযোগ সম্পর্কে আতিয়ার মৃধা হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ময়না তদন্তে যদি প্রমাণ হয় যে আয়শাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাহলে আমরা দোষী। পুলিশ ও যদি তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা পায় তাহলে আমরা দোষী।

আতিয়ার মৃধা দাবি করে বলেন, পালাতে গিয়ে বিদ্যুতের ফাঁদ হিসেবে পাতা তারে জড়িয়ে আয়শার মৃত্যু হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আমিনুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যেতে পারেন আবার ফাঁদে পা দিয়েও মারা হতে পারে। তদন্ত চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুন মৃধাকে (৫০) আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’