লালশাক ক্ষেতে ‘ধলু’ রোগের আক্রমণ
মেহেরপুরে লালশাক বীজ উৎপাদন ক্ষেতে ধলু রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে বীজ উৎপাদনে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
মেহেরপুর জেলায় বিপুল পরিমাণে শাক-সবজির বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে। বছরে দুই মৌসুমে লাল শাকের বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে। একটি জাতের লালশাকের বীজ এখন মাড়াই উপযুক্ত, অন্য জাতটি নাবি।
জেলার বিভিন্ন মাঠে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাবি জাতের লালশাক গাছ এখন এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়েছে। ফুল আসতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় পাতার নিচের অংশে সাদা দাগ দেখা দিয়েছে।
চৌগাছা গ্রামের চাষি গোলাম মোস্তফা ঝিনেরপুল মাঠে ১০ কাঠা জমিতে আরএম জাতের লাল শাকের বীজ উৎপাদন করছেন। তার ক্ষেতে শাকের পাতায় সাদা দাগ দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘লাভজনক তাই প্রতি বছরই বীজ উৎপাদন করি। এবার আগে থেকেই সাদা দাগ দেখা দেয়ায় গাছের বৃদ্ধি কমে গেছে। এক গাছ থেকে আরেক গাছে সাদা দাগ ছড়িয়ে পড়ছে। সাদা দাগ যে পাতায় হয়েছে সেটি শুকিয়ে যাবে। চলতি মাসের প্রথম দিকে বৃষ্টির পর থেকে গাছগুলো আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা এটিকে ধলু রোগ বলে জানি।’
মেহেরপুর জেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রেজা জানান, ছত্রাকজনিত কারণে পাতায় এমন দাগ দেখা যাচ্ছে। কপার অক্সিক্লোরাইড জাতীয় ছত্রাকনাশক (সানভিট, চ্যাম্পিয়ন) প্রতি লিটারে ২ গ্রাম মিশিয়ে ১০ দিন পর পর স্প্রে করলে এ দাগ দূর হবে। চিন্তিত না হয়ে দ্রুত স্প্রে সম্পন্ন করতে চাষিদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।