রিয়াদ হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৯

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত স্কুলছাত্র রিয়াদ/ছবি: সংগৃহীত

মৃত স্কুলছাত্র রিয়াদ/ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভায় স্কুলছাত্র মারুফ হোসেন রিয়াদকে (১৬) খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি মো. ফারুক হোসেনসহ (২৮) আরও নয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) জেলা পুলিশ ইনভেশটিগেশন (পিবিআই) টিম তাকে গ্রেফতার করে।

বিজ্ঞাপন

পিবিআই কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়মনসিংহ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে কচুয়া উপজেলার মালছোঁ গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে ফারুক হোসেন।

এর আগে রোববার সকালে পৌরভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাইন বাড়ির সম্মুখে ফরিদ হোসেনের দোকান থেকে মারুফ হোসেন রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রিয়াদের বাবা ফারুক মিয়া হত্যার দিনগত রাতে নামধারী ৬ জন ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে বিবাদী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। রিয়াদ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ মামলার নামধারী সকল আসামিসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এদের মধ্যে ৮ জনকে সোমবার চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি ও তদন্ত ওসি আবদুর রশিদ ৮ জন আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার আসামিরা হলো- মকিমাবাদ জালাল উদ্দিন হাজী বাড়ির মকবুলের ছেলে রাকিব (২২), হানিফের ছেলে রাব্বী (২১), মোস্তফার ছেলে সাকিব (২০) ও আবদুল মালেকের ছেলে রাকিব (২১), আবুল কাশেম , দোকানের মালিক ফরিদ হোসেন, চাচা শাকিল (১৮), সুইপার নুরুল আমিন।

আরও পড়ুন- হাজীগঞ্জে স্কুলছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

পুলিশ জানায়, রিয়াদকে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়। তার হত্যা নিশ্চিত হবার পর টয়লেটের ট্যাংকিতে গুম করে রাখার চেষ্টা করে খুনিরা। আর এ জন্য দুইটি টয়লেট পরিষ্কার করে নুরুল আমিন। আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় শনিবার দিনগত রাত ১১টার পর ফুটেজে থাকা রাকিব-১, রাকিব-২, রাব্বী, সাকিব ও কাশেমকে রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়। ওই ফুটেজে থাকা মামলার প্রধান আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, রিয়াদ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।