স্পিরিট সেবনে মৃত্যু: ৪ মাস পর মরদেহ উত্তোলন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দাফনের প্রায় চার মাস পর মরদেহ উত্তোলন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

দাফনের প্রায় চার মাস পর মরদেহ উত্তোলন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রেকটিফাইড স্পিরিট সেবনে ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করা চার ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক ও বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ওমর ফারুক লিটন’র মরদেহ পারিবারিক কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গতকাল সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ড্রাইভার মহিন উদ্দিন ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সবুজ-এর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ও পরদিন সকালে বসুরহাট পান বাজারসংলগ্ন রফিক হোমিও হলের স্পিরিট পান করে একে একে ৬ জনের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় ২৮ সেপ্টেম্বর রফিক হোমিও হলের মালিক সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ (৬৫) ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়মকে (২৯) গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে স্থানীয় শাহজাহান সাজু নামে এক ব্যক্তি রফিক হোমিও হলের মালিক ও তার ছেলেকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করায়, মৃত্যুর ৩ মাস ২৫ দিন পর চারজনের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে সে সময় অপর দুই মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করে দাফন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান,কোম্পানীগঞ্জ থানার (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন।

স্পিরিট পানে ৬জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক হোমিও হলের মালিক কথিত হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম নোয়াখালী কারাগারে রয়েছেন।