নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা
কাশ্মীরি আপেল কুল নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছেন মেহেরপুরের চাষিরা। বাউ কুলসহ বিভিন্ন জাতের কুল আবাদ হলেও কাশ্মীরি কুল বেশি লাভজনক বলে মন্তব্য চাষিদের। তাই বেশি দামের এই ফল আবাদের পরামর্শও দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জুগিন্দা গ্রামের ফরিদুল ইসলাম বকতলা মাঠে চার বিঘা জমিতে এবার কাশ্মীরি আপেল কুল আবাদ করেছেন। গেল বৈশাখ মাসে তিনি ৬০০টি কলম চারা রোপণ করেন। জমি তৈরি থেকে শুরু করে ফল সংগ্রহ পর্যন্ত খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। বর্তমান পাইকারি বাজারে প্রতি কেজির মূল্য ৫০-৭০ টাকা পর্যন্ত। এ জমি থেকে তিনি ৪০০ মণ কুল বিক্রির আশা করছেন। সে হিসেবে চার বিঘা জমিতে তার লাভ দাঁড়াবে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। মাত্র ছয় মাসে এই পরিমাণ লাভ সাধারণ ফসল থেকে আসে না বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা। চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প পরিমাণে কাশ্মীরি আপেল কুল আবাদ করা হচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
এই কুল আকারে ছোট হলেও গড়ন ও রং আপেলের মতই। খেতেও আপেলের মতো নরম ও সু-স্বাদু। তাই আপেল কুল নামে পরিচিত।
কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, একবার চারা লাগালে তিন চার মৌসুম কুল পাওয়া যায়। প্রথম বছর চারা ক্রয়ের খরচ বেশি। আগামী বছর থেকে উৎপাদন খরচ কম হবে তখন আরও বেশি লাভ হবে বলে আশা করছি।
ফরিদুলের বাগান দেখভাল করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান। উচ্চমূল্যের ফসল আবাদে বেশি লাভ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ চাষ পদ্ধতিতে উৎপাদিত এই কুল নিরাপদ ফল হিসেবে খাওয়া যাবে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, কাশ্মীরি আপেল কুল এক অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ কম তাই কীটনাশক প্রয়োগ নেই বললেই চলে। ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ একটি ফল উৎপাদন করা যাচ্ছে।