পাটুরিয়ায় বিকল ২ ফেরি, পারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যানবাহন
ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ও ফেরি স্বল্পতার কারণে ভোগান্তি বাড়ছে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকায়। এক থেকে দুই ঘণ্টার অপেক্ষায় যাত্রীবাহী বাস নৌরুট পারাপারের সুযোগ পেলেও দীর্ঘ ভোগান্তিতে রয়েছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা। তবে ছোট গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ধীর গতিতে ফেরি চলাচল করে। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলেই ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এছাড়া নৌরুটে চলাচলকারী ১৬টি ফেরির মধ্যে বড় দুইটি ফেরি মেরামতে রয়েছে। যে কারণে যানবাহন পারাপারে দীর্ঘ সময় ফেরিঘাট এলাকায় শ্রমিক ও যাত্রীদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া উভয় ফেরিঘাট এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করায় দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলগামী ট্রাক চালকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সকালে আড়াই ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। সবশেষ ফেরি ঘাট এলাকায় বাস ও ট্রাক মিলে নদী পারের অপেক্ষায় প্রায় ২শ যানবাহন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি মানিকগঞ্জের আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বড় দুইটি ফেরি পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ভাসমান কারখানায় বিকল হয়ে পড়ে আছে। যে কারণে যানবাহন পারাপারে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরি দুইটি সচল করে যানবাহন পারাপারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। সবশেষ পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় বাস ও ট্রাক মিলে তিন শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।