সোনা পাচারের নতুন রুট চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত



তারেক রহমান, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আটক সোনা পাচারকারীরা

আটক সোনা পাচারকারীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশি ও আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তকে সোনা পাচারের নতুন রুট হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে। অরক্ষিত সীমান্ত ও বিট খাটাল থাকার সুযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জকেই নিরাপদ রুট হিসেবে টার্গেট করেছে সোনা চোরাচালানিরা।

সম্প্রতি ৫৩ বিজিবি’র সদস্যরা বাখের আলী সীমান্ত থেকে ২০টি সোনার বারসহ এক পাচারকারীকে আটক করে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে বিজিবি। মামলাটি তদন্ত করছেন সদর মডেল থানার এসআই নাজমুল হক। তবে অজ্ঞাত কারণে গণমাধ্যমে এ তথ্য দেয়নি বিজিবি। আটক সোনা পাচারকারী রবু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোঠাপাড়ার আবদুল মান্নানের ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সোনামসজিদ জিরো পয়েন্টে ৩টি স্বর্ণের বারসহ মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে আটক করেছে সোনামসজিদ কাষ্টমস শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। জুতার মধ্যে লুকিয়ে বারগুলো ভারতে পাচারের সময় আটক করা হয় তাকে। আটক মোহাম্মদ আলী ফেনী জেলার রামপুর গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে ।

সোনামসজিদ কাষ্টমস গোয়েন্দা বিভাগের সুপার মো. শাহজাজাহান আলী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সোনামসজিদ জিরো পয়েন্টে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের তল্লাশি চৌকিতে মোহাম্মদ আলীর ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। পরে তার পায়ের মোজার মধ্যে লুকানো সোনার বার বের করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভারতের মালদা শহরে স্বর্ণগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে পার হচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

শাহজাজাহান আলী আরও জানান, প্রতিটি বারের ওজন একশো গ্রাম করে, যার আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোনা পাচারকারীদের কাছ থেকে জব্দকৃত সোনার বার, পাসপোর্ট ও নগদ টাকা

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলকে ঘিরে সোনা পাচারকারীদের একটি শক্তিশালী চক্র রয়েছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে সোনা পাচার করছে চোরাকারবারিরা। হুন্ডির কারবারে প্রশাসনের নজরদারির কারণে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে। সোনা বিক্রির টাকা দিয়ে মাদক অস্ত্রসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসছে তারা। সোনা পাচারকারী চক্রটি দুই দেশেই অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই মূল মালিক থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও গরুর রাখালদের মাধ্যমে সীমান্ত পথে সোনা পাচার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পাচারকারীদের কেউ কেউ আটক হলেও পর্দার আড়ালে থেকে যাচ্ছে প্রকৃত চোরাকারবারিরা।

চোরাকারবারিরা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) চোখ এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই অবৈধ কারবার চালিয়ে আসছে। গোপন সংবাদ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই সোনার চালান আটক করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশেপাশে সীমান্তগুলো ভারতের সঙ্গে ৫৭  কিলোমিটার বিস্তৃত। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় চোরাকারবারিরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত পথকে সোনা পাচার ও মাদকসহ চোরাচালান পণ্যের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪ সালে বিট খাটাল নীতিমালা জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নীতিমালা জারির পর সীমান্ত বিট খাটাল গড়ে ওঠে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে চালু রয়েছে ৯টি বিট খাটাল। এই বিট খাটালে গরু-মহিষ আমদানির সুযোগ নিয়ে চোরাকারবারিরা ভারতীয় বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে হরহামেশাই দেশে মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্রের চালান ঢোকাচ্ছে। আর এসব আগ্নেয়াস্ত্র হাতবদল হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার অপরাধ চক্রের সদস্যদের হাতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

বিদায়ী বছরে রেকর্ড পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।  চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদকের ১৪১৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ হাজার ৬৩ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।

সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২৪ কেজি ৯২২ গ্রাম ৯৪ পুরিয়া হোরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪০ পিস। ৬৫ হাজার ৫২১ বোতল ফেনসিডিল। এছাড়াও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে ২২৭ কেজি ৯১১ গ্রাম। ১৪৫৯ অ্যাম্পল নেশাজাতীয় ইনজেকশন, বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪ বোতল ১৫ লিটার। একই সময়ে ৪ হাজার ৬৩৯ লিটার দেশীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৫৩টি বিদেশি পিস্তল, দেশি পিস্তল ১টি, শুটারগান ১৪টি, ৮৯টি ম্যাগজিন ও ২৭৪ রাউণ্ড গুলি  উদ্ধার করা হয়েছে।

৫৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, সব ধরনের তথ্য আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকি। মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে সীমান্ত এলাকা থেকে ২৩টি সোনার বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত সোনা পাচারের স্থায়ী রুট হিসেবে পরিণত হওয়ার আগেই চোরাকারবারিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;