একটি সেতুর জন্য ৩০ বছর ধরে অপেক্ষা
‘সেই ছোটবেলা থেকেই মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর-শ্যামপুর ঘাটের মাথাভাঙ্গা নদীর উপরে বাঁশের সাঁকোটি দেখছি। প্রায় ৩০ বছর ধরে এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছি। তখন থেকেই শুনছি সেতু নির্মাণ হবে। কিন্তু আজও তা নির্মাণ করা হয়নি। এই সেতুর জন্য আমাদের আর কতো দিন অপেক্ষা করতে হবে?’
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের বৃদ্ধ গোলাম হোসেন।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলাসহ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, আল্লারদর্গা ও ভেড়ামারার বাসিন্দারা ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। তবে গত ৩০ বছর ধরে ওই সাঁকোর স্থলে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
সেতু দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন জানান, প্রতি বছর এখানে নতুন করে সাঁকো তৈরি করা হয়। তবে এই সাঁকোর উপর দিয়ে ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তাই যাতায়াতে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে। পথচারীরা ৩০ বছর ধরে একটি সেতুর জন্য অপেক্ষা করছে।
গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাঁকো সংলগ্ন মহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল আহম্মেদ বলেন, ‘কুষ্টিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগের জন্য আমরা মহাম্মদপুর-শ্যামপুর ঘাটের সাঁকো পারাপারের রাস্তা ব্যবহার করি। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। জনগুরুত্ব বিবেচনায় অনেক আগেই এখানে সেতু নির্মাণ হওয়ার দরকার ছিল।’