শিক্ষকের প্রতারণা, পরীক্ষা দিতে পারবে না ৮ শিক্ষার্থী!
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু শ্রেণি শিক্ষকের প্রতারণার শিকার হয়ে প্রবেশপত্র হাতে না পেয়ে বিদ্যালয়ের ৮ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক মো. সোহেল রানা রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা না দেয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের ৪৪ শিক্ষার্থী আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চেষ্টায় গত শুক্রবার ৩৬ শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র পাওয়া গেলেও এখনো বাকি ৮ জনের।
এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান ও আইসিটি শিক্ষক মো. সোহেল রানা পলাতক রয়েছেন ।
ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি কে এম ওবায়দুল বারী জানান, বিদ্যালয়টি থেকে এ বছর ৪৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে কথা ছিল। শুক্রবার সকালে ৩৬ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র হাতে পাওয়া গেছে। কিন্তু ৮ জনের প্রবেশপত্র দিতে পারেনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান ও আইসিটি শিক্ষক মো. সোহেল রানা।
যে ৮ জন শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র পায়নি তারা হলো সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামের আকাশ প্রামাণিক, আল ফাহাদ বেপারী, হরিরামপুর ইউনিয়নের আরজখার ডাঙ্গী গ্রামের রিমন ফকির, হাসান ফকির, দবিরুদ্দীন প্রামাণিক ডাঙ্গী গ্রামের নাফিজা আক্তার, সাদিয়া আক্তার ও চরশালেপুর গ্রামের ঋতুপর্ণা, সাথী আক্তার।
অভিভাবকরা বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতারণার ফাঁদে পরে আজ ৮ পরীক্ষার্থীর জীবন ধ্বংসের মুখে। তারা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় কে নেবে?’ শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের মাধ্যমে জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ওই আট পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি যারা এ জালিয়াতি ও প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত তদন্ত করে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।