পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোটি টাকা ছিনতাই, আটক ৪
বরগুনার আমতলীতে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহকারী তিন প্রতিষ্ঠানের প্রায় কোটি টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মাইক্রোবাস চালক আবু বক্করসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে এঘটনায় জড়িতদের আটকের বিষয়টি নিশ্চত করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের টিয়াখালী দিয়ে মাইক্রোবাসে করে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহকারী তিন প্রতিষ্ঠান আরইডব্লিউ, এসইডব্লিউ ও জেটি ট্রেডার্স টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।
এসময় টাকা বহনকারী মাইক্রোবাসে থাকা কোম্পানির মালিকসহ দুইজন ছিনতাইকারীদের রামদার কোপে আহত হয়েছেন। হামলায় গুরুতর আহত ঝুনু ও তানভীরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পুলিশ ও কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আরইডব্লিউ, এসইডব্লিউ ও জেটি ট্রেডার্স নামের তিন প্রতিষ্ঠান পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক সরবরাহ করে আসছে। ওই তিন কোম্পানির ৫ শতাধিক শ্রমিক পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করে। জানুয়ারি মাসের ওই শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য বরিশাল প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে আরইডব্লিউ সাড়ে ১২ লাখ, এসইডব্লিউ ৩৬ লাখ ও জেটি ট্রেডার্স ৫২ লাখ টাকা উত্তোলন করে কলাপাড়া উপজেলার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৫৭৬১) যোগে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী-কুয়াকাটা হাইওয়ে সড়কের টিয়াখালী কলেজ সংলগ্ন স্থানে একটি ভ্যানগাড়ি ও বাঁশ ফেলে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে। পরে পেছন দিক থেকে ৫-৬টি মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারী চক্র দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং মাইক্রোবাসটি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টিয়াখালী কাঁচা সড়কে নিয়ে যায়। গাড়িতে থাকা কোম্পানির হোসাইন, জুয়েল, হুমায়ূন, ঝুনু ও তানভীনকে বেধড়ক মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তানভিন ও ঝুনু প্রতিরোধ করলে তাদের কুপিয়ে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোবাস চালক আবু বক্করকে আটক করা হয়। পরে বুধবার রাতে একটি মোটরসাইকেলসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।