৮০ বছরেও জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মো. আজগার আলী/ছবি: বার্তা২৪.কম

মো. আজগার আলী/ছবি: বার্তা২৪.কম

তৈল দেয়া মাতায় সবাই তৈল দেয়। টাকা দিলে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়, না দিলে হয় না। একটা বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার গেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত আশা ছেড়েই দিয়েছি। এভাবেই আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন মো. আজগার আলী (৮০)।

আজগার আলীর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ডুংডুঙ্গির বাজারের ডাক্তার পাড়া গ্রামে। তিনি ৯ সন্তানের জনক।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঁচ ছেলে চার মেয়ে ও স্ত্রী নিয়েই তার সংসার। ছোট মেয়েটি লেখাপড়া করছে আর বাকি তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে। শ্রমিকের কাজ করে জীবন চলে তার। মাঝে মাঝে ভিক্ষাও করেন তিনি।

বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ভাংড়ির বাজারে পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। যেদিন কাজ করতে না পারেন সেদিন ভিক্ষা করেন।

বিজ্ঞাপন

আজগার আলীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, টাকা দিলে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয় না দিলে হয় না। কার্ডের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনেকবার গেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমার নাকি অনেক কিছু আছে এই জন্য আমাকে দেয় না।

বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাদশা মিয়া ও আব্দুস ছোবাহান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজগার আলীকে আমরা অনেক দিন ধরে চিনি। তিনি বাজারে পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন আবার মাঝে মাঝে ভিক্ষাও করেন। একটা বয়স্ক ভাতা কার্ড পেলে অসুস্থ মানুষটার খুব উপকার হয়।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাইদুল রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই বৃদ্ধ আমার নজরে আসে নাই। এখন সুযোগ আছে আমার কাছে আসতে বলেন কাগজপত্র দেখে করে দিব।