গাংনীতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের হাতাহাতি আহত ৫
মেহেরপুরের গাংনীতে ছাত্রলীগের বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাংনী হাসপাতাল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম হোসেন (১৭), জেলা ছাত্রলীগ সদস্য সবুর হোসেন (১৭) গাংনী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলামকে (২২) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলে আসছিল বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুস সামাদ বাঁধন গাংনী উপজেলা শহরে বিরোধের বিষয়ে খোঁজ নিতে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগের ইমরান-হাসিব পক্ষের লোকজন সেন্টু-শিশির পক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে অন্তত পাঁচজন রক্তাক্ত জখম হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় আহত ফাহিম ও সবুজকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মাজেদুল ইসলামকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গাংনী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেষ্টনী দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার ওষুধের দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হাসপাতাল গেটের সামনে পৌঁছালে ইমরান-হাসিব গ্রুপের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসিব বলেন, ‘সেন্টু ও শিশির পক্ষ বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।’