লক্ষ্মীপুরে রোগীর মৃত্যু, অভিযোগ চিকিৎসকের অবহেলা
লক্ষ্মীপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় বাদশা মিয়া (৫৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর নিহতের স্বজনরা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
নিহত বাদশা রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে। তার মরদেহ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাতে হার্টের ব্যথা নিয়ে বাদশা মিয়াকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসময় জরুরি বিভাগ থেকে রোগীর ইসিজি করতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ইসিজি করে বাদশাকে হাসপাতালের বেডে নিয়ে আসা হয়। পরে তিনি টয়লেটে গেলে অচেতন হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন। পরে টয়লেটের দরজা খোলার জন্য স্বজনরা চিৎকার চেঁচামেচি করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে নিহতের ছেলে শাহজাহান টয়লেটের দরজার ওপর দিয়ে বাথরুমে ঢুকে। একপর্যায়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক এসে বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় স্বজনরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। একপর্যায়ে স্বজনরা হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এসময় হাসপাতালের আশপাশের লোকজনও জড়ো হয়।
নিহতের স্ত্রী শাহানারা বেগম বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে কোনো চিকিৎসক ও নার্স আমার স্বামীকে দেখতেও আসেনি। তাদের অবহেলার কারণেই আমার স্বামী মারা গেছে।
নিহতের ছেলে শাহজাহান বলেন, আমার বাবা খুবই অসুস্থ ছিল। আমি বারবার চিকিৎসকের সন্ধান করেও কাউকে পায়নি। কোনো চিকিৎসক আমার বাবাকে দেখতেও যায়নি। একজন নার্স এসে একটি ইনজেকশন পুশ করে চলে গেছে। আমার বাবাকে চিকিৎসা দিতে তারা অবহেলা করেছে।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল (আরএমও) অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তি হওয়ার পর রাতে অবশ্যই জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোগীকে দেখেছেন। নার্সও তার দায়িত্ব পালন করে রোগীকে বেডে দেন। তবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।