সড়ক দুর্ঘটনায় নয়, ছিনতাই চক্রের হাতে খুন হন সৈকত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
সৈকত হত্যার সঙ্গে জড়িতরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সৈকত হত্যার সঙ্গে জড়িতরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকা থেকে গত ২১ জানুয়ারি উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম মো. মোক্তার হোসেন সৈকত (২৮)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল ওয়াহেদের ছেলে। ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন পদ্ধতি অবলম্বন করে তার পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লা জেলার সদস্যরা।

এদিকে, ওইদিন মরদেহটি উদ্ধারের পর চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরাসহ সকলে মনে করেন নিহত ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তবে ঘটনাটির আলামত দেখে ভিন্ন কিছু সন্দেহ হয় পিবিআই, কুমিল্লার সদস্যদের। এ ঘটনাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করেন তারা। টানা ১৬ দিন ছায়া তদন্তের পর পিবিআই, কুমিল্লা টিমের সদস্যরা নিশ্চিত হন, সড়ক দুর্ঘটনায় নয়, সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্যদের হাতে খুনের শিকার হয়েছেন মোক্তার হোসেন সৈকত। এরপর পিবিআইয়ের ছায়া তদন্তে উদঘাটিত হয়েছে পুরো হত্যার রহস্য। আর হত্যায় ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারসহ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে পিবিআই কুমিল্লা জেলা প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওসমান গণি বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২১ জানুয়ারি উদ্ধার হওয়া মৃত ব্যক্তিটির মাথা ও মুখ সম্পূর্ণ থেঁতলানো ও বিকৃত অবস্থায় ছিল। তারা প্রথমে ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন পদ্ধতি অবলম্বন করে ভিকটিমের সঠিক পরিচয় উদঘাটন করেন। পরিচয় পাওয়ার পর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সে সময় সকলের ধারণা ছিল ভিকটিম সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তবে পিবিআই কুমিল্লা জেলার ইউনিট ঘটনাটি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।

ছায়া তদন্তে বেড়িয়ে আসে ভিকটিম সৈকত গত ১৮ জানুয়ারি দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে চাঁদপুরে যান। চাঁদপুর থেকে ২০ জানুয়ারি কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় আসেন। ২১ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টায় মহাসড়কে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তবে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।

মোহাম্মদ ওসমান গণি জানান, উক্ত মোবাইলফোনের সূত্র ধরে পিবিআই কুমিল্লা জেলা টিম গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১৬ দিন এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত সম্পন্ন করে ফেনী শহর থেকে আবুল হাসনাত ওরফে তারেক নামে একজনকে গ্রেফতার করে। তিনি ফেনী সদরের নোয়াবাদ নুরুজ্জামান গ্রামের আবুল বসরের ছেলে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ফেনী সদরের দক্ষিণ শর্শদি খানের সৈয়দ নুরুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান সাইফুল এবং লাকসামের বাতাখালি গ্রামের মো. রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর ৩ জনেই স্বীকার করে যে, তারা গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যার পরে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বের হয়। তারা ফেনী থেকে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা জেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড পর্যন্ত কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ছিনতাই করে। এরপর কুমিল্লা থেকে ফেনী শহরে ফেরত যাওয়ার সময় রাত দেড়টার দিকে চৌদ্দগ্রাম থেকে সৈকতকে জোর করে প্রাইভেটকারে তুলে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় সৈকত তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করলে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে প্রাইভেটকার থেকে ফেলে দেয় এবং ওই প্রাইভেটকার দিয়ে চাপা দিয়ে খুন করে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;