ছিনতাইকালে চিনে ফেলায় হত্যা করা হয় হেলাল উদ্দিনকে



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, ছবি: সংগৃহীত

ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় মুখোশধারী ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে (৩৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হেলাল উদ্দিন নিখোঁজ ও তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য জানান।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাধাভল্লবপুর গ্রামের একটি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে হেলাল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়।

উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন। সে উচাখিলা বাজারে চুন ও তামাকপাতা বিক্রি করেন। গত ১৮ জানুয়ারি রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় হেলাল। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন ২৯ জানুয়ারি ঈশ্বরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি ও ৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করেছেন।

নিখোঁজ ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে। সে উপজেলার উচাখিলা বাজারে চুন ও তামাক পাতা বিক্রি করে। গত ১৮ জানুয়ারি রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন হেলাল।

আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ১৭ দিনেও উদ্ধার হননি ব্যবসায়ী

এদিকে, ২১ জানুয়ারি রাতে হেলালের বড় ভাই মো. দুলাল মিয়ার কাছে ফোন আসে।

ফোনের অপর প্রাপ্ত থেকে বলা হয়- ‘তোর ভাই কি হারানো গেছে? তোর ভাইকে আমরা নিয়ে গেছি। ফেরত পেতে হলে ২ লাখ টাকা লাগবে।’

তখন দুলাল মিয়া এতো টাকা দিতে পারবে না বলে অনুনয় বিনয় করলে ১ লাখ টাকায় রফা হয়। এ সময় টাকাগুলো উপজেলার উচাখিলা-লক্ষ্মীগঞ্জ সড়কে নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু উল্লেখিত স্থানে যাওয়ার আগে দ্বিতীয়বার কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পান দুলাল।

পরে, বিষয়টি পুলিশ ও র‍্যাব ময়মনসিংহ-১৪ কার্যালয়ে জানানো হয়। পুলিশ ফোনের নম্বরটি দিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় উচাখিলা ইউনিয়নের মঘা গ্রামের নুর ইসলাম ও তার ছেলে আজিজুলকে আটক করে।

কিন্তু ঘটনার অন্তত ১৫ দিন আগে ফোনটি হারিয়ে যাওয়ায় এবং তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের তথ্য না পাওয়ায় পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দু’জনকে ছেড়ে দেন।

এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাবের একটি দল ৪ ফেব্রুয়ারি উচাখিলার ঈশ্বরপুর গ্রামের আক্কাছ ওরফে আকাশ (১৮) ও মঘা গ্রামের ইজিবাইক চালক কাঞ্চন মিয়াকে (১৮) গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে। বিষয়টি নিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি হেলালের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে নিখোঁজের ২০ দিন পর ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

এদিকে, গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ৬ ফেব্রুয়ারি রাধাভল্লবপুর গ্রামের রিপন আচার্য্য (২৮), মঘা গ্রামের মো. ফারখ মিয়া (১৯) ও উচাখিলা বক্ষিলবাড়ি এলাকার খায়রুল ইসলামকে (১৪) আটক করা হয়। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হলে খায়রুলকে কিশোর সংশোধনাগারে এবং রিপন ও ফারুখকে ২ দিনের রিমান্ডে আনা হয়।

পুলিশ জানায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রিপন ও ফারুখ ঘটনার মূল হোতা হিসেবে রাধাভল্লবপুর গ্রামের প্রাণেশ আচার্যের ছেলে উত্তম আচার্য্যর নাম জানায়। পরে পুলিশ সিলেট থেকে উত্তমকে গ্রেফতার করে ঈশ্বরগঞ্জ নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে উত্তম পুলিশকে জানায় হেলাল উদ্দিনের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নেয়ার সময় তাদের চিনে ফেলায় হাত-পা বেঁধে মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর একটি অবহৃত টয়লেটের ট্যাংকিতে মরদেহ ফেলে রাখা হয়। এরপর হেলালের কাছ থেকে পাওয়া ২০ হাজার টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় ছিনতাইকারীরা।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাজার থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন হেলাল উদ্দিন (৩৫)। এ সময় একদল মুখোশধারী ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় হেলাল উদ্দিন দুর্বৃত্তদের চিনে ফেলায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা। এরপর মরদেহ টয়লেটের ট্যাংকিতে ঢুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় বিভিন্ন ধাপে ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;