গাড়ির টায়ার চুরিতে বাধা দেয়ায় ঘুমন্ত হেলপারকে হত্যা
ফরিদপুরে গাড়ির নতুন দুটি টায়ার চুরি করতে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় ঘুমন্ত হেলপারকে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের পর জানা গেছে এ তথ্য।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গত ২৪ অক্টোবর ভোরে ফরিদপুর-খুলনা রুটে চলাচলকারী নিউ নুপুর পরিবহনের একটি বাসকে ভাঙ্গা উপজেলার চৌরাস্তা এলাকায় পাওয়া যায়। ওই বাসের মধ্য থেকে সাদ্দাম শেখ (২২) নামে এক হেলপারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সাদ্দাম শেখ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের পূর্ব আড়পাড়া গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে।
নুপুর পরিবহনের ওই বাসটি প্রতিদিন সকাল ৬টার দিকে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রাতে ওই বাসটি ফিরে এসে নতুন বাসস্ট্যান্ডে থাকে। ওই বাসে ঘুমিয়েছিলেন সাদ্দাম।
এ ঘটনায় নিউ নুপুর পরিবহনের মালিক শহরের ঝিলটুলী মহল্লার বাসিন্দা মো. জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, এ মামলার তদন্ত পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হয়। তদন্তে জানা যায় কোনো এক সময় জনি মোল্লা (২৫) ও মেহেদী আবু কাওসার (২০) নামে দুইজন নুপুর পরিবহনের ওই বাসের দুটি নতুন টায়ার চুরি করার সময় বাধা দেন সাদ্দাম। এ কারণে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডে তাদের দুইজনের সঙ্গে আরও ৪ জন অংশ নেয়। এ হত্যার ঘটনায় জনি মোল্লা, মেহেদী আবু কাওসার, সাজ্জাদ হোসেন মাতুব্বর (২৫) ও আলমগীর হোসেন (৩২) নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এখনো পলাতক আছে দুইজন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।