বোরো আবাদে ব্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বোরো আবাদে ব্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

বোরো আবাদে ব্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা। শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এবারে ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫২ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফতর সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমির বিপরীতে চাষাবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে, গোমস্তাপুরে ১৪ হাজার ৫৬০ হেক্টর বিপরীতে ৯ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে, শিবগঞ্জে ৭ হাজার ৯৩০ হেক্টরের বিপরীতে ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে, নাচোলে ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টরের বিপরীতে ১ হাজার ৫৮৫ হেক্টর ও ভোলাহাটে ৫ হাজার ৪৩৫ হেক্টর  জমির বিপরীতে ৩ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এবারে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৮০০ হেক্টর। গত বছর ৫০ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। তবে এবার ৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ কম হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা ও নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের ঘাসুরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে বোরোর আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

কৃষক শাহলাল ও সোহরাব আলী জানান, আমন ধানের ফলন কম হওয়ায় এবার তারা বোরো ধানের আবাদ করছেন। কৃষকরা বলছেন, এ ধান আবাদে বাড়তি পানি লাগে। সেক্ষেত্রে গভীর নলকূপের পানির জন্য ১৫০০-১৬০০ টাকা খরচ লাগে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার বোরো ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ভাল হবে।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও বলেন, সারের দাম কম থাকায় কিছুটা সুবিধা পাওয়া গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, বীজের অবস্থা ভাল থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। যেগুলো ফসলে পানি কম লাগে এর বিকল্প হিসেবে গম, ভূট্টা ও সরিষা চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। চলতি মাসের শেষদিন পর্যন্ত আবাদ চলবে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন।