১০ কাঠা জমিতে আলু চাষ, ১ লাখ টাকার উপরে লাভ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিদের উৎপাদিত আলু স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়। ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে চাষিদের মুখেও হাসি ফুটেছে।
গৌরীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০০ হেক্টর। উফশী ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলু ৮০ হেক্টর, চল্লিশা জাতের আলু ৩৬৫ হেক্টর, বগুড়া জাতের আলু ৬২ হেক্টর, জাম জাতের আলু ৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চল্লিশা জাতের আলু বেশি চাষের পাশাপাশি উৎপাদনও ভালো হয়েছে।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কার্তিক মাসের শেষের দিকে উপজেলায় বিভিন্ন আলুর বীজ বপন করে চাষিরা। মাঘ মাসের শেষের দিকে আলু পরিপক্ব হয়। এখন মাঘ ও ফাল্গুন মাস জুড়ে আলু উত্তোলনের ব্যস্ততা থাকবে কৃষক পরিবারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বোকাইনগর, কলতাপাড়া, ভাংনামারীর চরাঞ্চল, নন্দীগ্রাম, চুরালী, কৃষ্ণপুর, রামগোপালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের ক্ষেত জুড়ে আলু তোলার উৎসব চলছে। শীতের মিষ্টি রোদে কেউ কোদাল নিয়ে মাটি আলগা করার কাজ করছেন, কেউ আলু কুড়িয়ে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখছেন। অন্যরা আলু পানিতে ধুয়ে বস্তায় ভরে বাড়ি কিংবা মোকামে যাচ্ছেন।
এদিকে চাষিদের উৎপাদিত আলু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে গড়ে উঠেছে মোকাম। চাষিদের উৎপাদিত আলু সংগ্রহ করতে ফরিয়াদের আগমনে জমে উঠেছে মোকামগুলো।
উপজেলার চুড়ালী গ্রামের আব্দুল মোতালেব জানান, এ বছর ২ একর জমিতে চল্লিশা জাতের আলু চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো ও মড়ক না থাকায় এবার আলু বিক্রি করে তার দ্বিগুণ টাকা লাভ হয়েছে।
ডৌহাখলা ইউনিয়নের চাষি রহিম উদ্দিন বলেন, ‘অন্যান্য ফসলের চেয়ে এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে। আমি ১০ কাঠা জমিতে আলু চাষ করে ১ লাখ টাকার উপরে লাভ করেছি।’
গৌরীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ভালো ফলন হয়েছে। চাষিরা উৎসবমুখর পরিবেশে নিজেদের ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন করছে। দামও ভালো পাচ্ছে।