আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা টাইমস, সাপ্তাহিক এইসময়ের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা টাইমস, সাপ্তাহিক এইসময়ের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, ছবি: বার্তা২৪.কম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা টাইমস, সাপ্তাহিক এইসময়ের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেন।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেগম ঝর্ণা হাসান, মাইনুদ্দিন আহমেদ মানু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, ফরিদপুর কোতায়ালী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকু।

বিজ্ঞাপন

আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম সেলিম, সদস্য আবু নাঈম, ফরিদপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন, কৃষক লীগের সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান বক্তা আরিফুর রহমান দোলন বলেন, 'ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রাণ। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভোটের সময় তাদেরকে কাজে লাগানো হয়। এরপরে যারা নির্বাচিত হয়ে যান তাদেরকে (নেতাকর্মী) এখন ভুলে যাওয়া হয়। খালেদা জিয়া এক সময় তৃণমূলকে অবহেলা করতেন এবং দুর্নীতিকে একমাত্র তার নিজের অবলম্বন মনে করতেন। এখন তিনি জেলখানায়। এভাবে যারা অতীতে আপনাদের সমর্থন নিয়ে ভালো ভালো কথা বলেছেন, ওয়াদা দিয়েছে কিন্তু সেই ওয়াদা রক্ষা করেনি। অনেকে কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ নিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছে, জনগণের হক আমানত নষ্ট করছে।'

আজ স্কুল-কলেজ, মসজিদ মাদরাসা সব জায়গায় উন্নয়ন হচ্ছে। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও ফরিদপুরের অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপিকে। এই অঞ্চলে আড়াইশ রাস্তা তিনি এলজিইআরডি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় করেছেন। যা বিগত ৫০ বছরে এই অঞ্চলে হয়নি। এই উন্নয়ন ও অগ্রগতি আগামীতেও হবে। শুধু আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখেন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকেন। দলের মধ্যে ধানের চিটার মতো যারা আছে তারা বিদায় হয়ে যাবে।

জনগণের আমানত নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলছে তাদেরকে প্রতিহত করব। এই গোপালপুর ইউনিয়ন আলফাডাঙ্গার মডেল ইউনিয়ন। এখানে আওয়ামী লীগের ঐক্য হবে সব থেকে সুসংগঠিত। যারা এই ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি হবেন তারা হবে সৎ এবং রক্ষাকারী।

আজকের সম্মেলনে যে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে তা হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এটাই আমার কামনা। কারণ বিভিন্ন জায়গায় আমরা বিভেদের কথা শুনি সেটা শুনতে চাই না।