ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে শাহজীবাজার রাবার বাগান



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে শাহজীবাজার রাবার বাগান

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে শাহজীবাজার রাবার বাগান

  • Font increase
  • Font Decrease

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার রাবার বাগান। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোকসানে একদিকে যেমন বকেয়া পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা। অন্যদিকে কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হওয়ার পথে বাগানে কর্মরত সাড়ে ৩০০ মানুষ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে লোকসান কমাতে ও বাগান ঠিকিয়ে রাখতে কাজ চলছে।

বাগান সূত্রে জানা যায়, ২ হাজার ১০৪ একর জায়গা নিয়ে ৮০ দশকে প্রতিষ্ঠা হয় শাহজীবাজার রাবার বাগান। এক সময় বাগানটি লাভজনক থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে লোকসানে চলে যায়। দীর্ঘ ১০ বছর আগে গাছের জীবনচক্র শেষ হওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারের রাবারের দাম কমে যাওয়া ও সঠিক পরিচর্চার অভাবে এখন ধ্বংসের প্রহর গুণছে বাগানটি। অথচ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছরই এখন কয়েক কোটি টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে বাগানটিকে।

তথ্যমতে, ২০১৩ সাল থেকে লোকসান শুরু হয়। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে লোকসানের পরিমাণ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ কোটি ৭০ লাখ, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৪ কোটি ২৬ লাখ, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৪ কোটি, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৩ কোটি ৬৪ লাখ এবং বিগত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। এ বছর লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বাগান কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, লোকসানের জন্য কর্তৃপক্ষ গাছের জীবনচক্র শেষ হয়ে যাওয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারের রাবারের দাম কমে যাওয়াকে দায়ী করলেও পরিচর্যার অভাব থাকার বিষয়টি স্বীকার করতে রাজি নয়। কর্তৃপক্ষ বলছে- গেলো ৭ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা বেড়েছে দ্বিগুণ। অথচ সেই তুলনায় রাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতো দূরের কথা উল্টো কয়েকগুণ কমে এসেছে। ২০০০ সালে প্রতি কেজি রাবারের দাম ছিল সাড়ে ৩০০ টাকা। অথচ বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি রাবারের দাম মাত্র ১৩০/১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, রাবার গাছের জীবনচক্র ৩০ বছর হলেও বর্তমানে গাছের বয়স চলছে ৪০ বছর। ১০ বছর আগেই গাছগুলোর জীবনচক্র শেষ হয়ে যাওয়ায় কমে গেছে কষ উৎপাদন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন গাছ লাগালেও অন্তত ১৫/২০ বছর সম্পূর্ণভাবে উৎপাদন বন্ধ থাকবে বাগানটি। আর যে পরিমাণ লোকসানের আসবে তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে অন্তত ৩০/৩৫ বছর। তাদের দাবি- দ্রুত গতিতে কাজ করলেও সম্পূর্ণ বাগানটি পরিষ্কার করতেই সময় লাগবে অন্তত ৪/৫ বছর। এরপর পুরোপুরিভাবে উৎপাদনে যেতে সময় লাগবে আরও ১২/১৫ বছর। এই সময় শ্রমিকসহ বিভিন্নভাবে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তা পুষিয়ে উঠতে ৩০/৩৫ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আগামী ৩৫/৪০ বছরের আগে লাভের মূখ দেখবে না শাহজীবাজার রাবার বাগান।

এ ব্যাপারে বাগানের কর্মচারি মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমার প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বকেয়া পড়েছে। এগুলো ফেলে আমাদের অনেক উপকার হতো। এককালীন টাকাটা ফেলে ছেলে-মেয়ের বিয়েসহ বাড়ি-ঘর নির্মাণে হাত দিতে পারতাম।’

ফয়জুল মিয়া বলেন, ‘প্রায় দেড় লাখ টাকার উপরে বেতন পাওয়া রয়েছে। দেবে দেবে বলেও দিচ্ছে না। ফলে খারাপভাবে আমাদের দিন কাটছে। ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব কষ্ট করে দিন কাটাতে হচ্ছে।’

শাওয়ন নামে অপর এক কর্মচারি দাবি করেন- ‘গাছগুলো বয়স্ক হয়ে যাওয়ায় সেগুলোতে পোকায় ধরেছে। ফলে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় গাছের গুড়া চোখে পড়ে।’

শাহজীবাজার রাবার বাগান কর্মচারি ইউনিয়ন সমিতির সভাপতি মো. আল আমীন বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বকেয়া পড়েছে প্রায় ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। একেক জন কর্মচারির বকেয়ার পরিমাণ দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। এসব দ্রুত পরিশোধসহ আবাসিক ব্যবস্থা, বাগানে মেডিক্যাল টিম রাখা ও নিরাপত্তা জোরদারসহ সকল সমস্যা সমাধান করা প্রয়োজন। এছাড়া বাগান যেন আরো বেশি উৎপাদনের দিকে যায় এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।’

তবে শীঘ্রই সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন বাগান ব্যবস্থাপক কে এম মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করতে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। দ্রুত সকল বকেয়া পরিশোধ করা হবে। এছাড়া বাগানটিকে পুনর্বাসন করার জন্য নতুন ছাড়া উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলছে’।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;