সাভারে ৩ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা, সিলগালা ২

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল সিলগালা করা হয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল সিলগালা করা হয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাভারে তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গেন্ডার ল্যাবস্টার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল, কর্ণপাড়া এলাকার যমুনা ডিজিটাল হাসপাতালে এ অভিযান পরিচালনা করেন সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ।

বিজ্ঞাপন

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা জানান, সিভিল সার্জন ডা. আবু মোহাম্মদ মাইনুল আহসানের নির্দেশে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে সাভারের ওই এলাকার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কর্ণপাড়া এলাকার যমুনা ডিজিটাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার পদবী দ্বিতীয়বারের মতো ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের কারণে ডিএমসি আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এর সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ল্যাবস্টার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে এর কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল সিলগালা করা হয়।

তিনি আরও জানান, এসব প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন আবাসিক ভবনে হাসপাতাল খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিও ছিল না।

বিজ্ঞাপন

এ সময় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নুসরাত জাহান সাথী ও স্থানীয় থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে সাভারের বনগ্রাম ইউনিয়নের সাসকো এনার্জি বিডি নামে একটি মবিল তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে এর ব্যবস্থাপক মো. আবু তালেবের (৩০) এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে পরিবেশ দূষণসহ অনুমোদন ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে কারখানা পরিচালনার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।