সাভারে ৫৫০ কেজি মহিষের মাংস জব্দ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এ সময় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়/ছবি: বার্তা২৪.কম

এ সময় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়/ছবি: বার্তা২৪.কম

সাভারে অভিযান চালিয়ে একটি বাসা ও দু'টি দোকান থেকে ৫৫০ কেজি অনুমোদনহীন হিমায়িত মহিষের মাংস জব্দ করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১ জনকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-২, র‌্যাব-৪ এর নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভারের ভাটপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ সংলগ্ন একটি বাসা ও সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরের মোল্লা মার্কেটের মাংসের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব -৪, মিরপুর-১, ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও উপজেলা পানি সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মো. ফজলে রাব্বী।

কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- সাভারের তেঁতুলঝোড়ার জয়নাবাড়ী এলাকার মো. আলী মিয়ার ছেলে মো. সুমন (২৭)। তিনি সাভারের মোল্লা সুপার মার্কেটে মাংসের ব্যবসা করতেন।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মোল্লা সুপার মার্কেটের গরুর মাংসের ব্যবসায়ী মো. ফারুক হোসেনের (৩৫) দোকান থেকে থেকে ৪০ কেজি হিমায়িত আমদানি নিষিদ্ধ মহিষের মাংস জব্দ করা হয়। তাকে নিরাপদ খাদ্য আইনে ২০১৩ এর ৩৩ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া সাভার পৌর এলাকার ভাটপাড়ার এনামুল হকের (৩৪) বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ৪৫০ কেজি হিমায়িত মহিষের মাংস জব্দ করা হয়। এ সময় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৩ ধারা মোতাবেক এনামুলকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে হেমায়েতপুরের মোল্লা সুপার মার্কেটের মো. সুমনের (২৭) মায়ের দোয়া নামক দোকান থেকে ৬০ কেজি একই মাংস ও লাল রং জব্দ করা হয়। পরে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৩ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে তাকে ১ বছর বিনাশ্রাম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

সিপিসি-২, র‌্যাব-৪ এর নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, জব্দ করা মোট ৫৫০ কেজি ভেজাল মহিষের মাংস ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। জব্দ করা মালামালের সর্বমোট আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৪৭ হাজা ৫০০ টাকা বলে জানান তিনি।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৩ ধারা অনুসারে মোবাইল কোর্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।