লক্ষ্মীপুরের প্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অরক্ষিত
ফেব্রুয়ারি মানেই রক্তঝরা ও অধিকার আদায়ের মাস। ১৯৫২ সালে এই মাসেই সালাম-রফিক-জব্বাররা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা করেছিলেন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলা ভাষায় আমরা সবাই মাকে ডাকতে পারি। এ জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম-রফিক-জব্বারদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হয়। কিন্তু এই দিবসটিতেও লক্ষ্মীপুরের প্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা গেছে, লতাপাতায় জড়িয়ে আছে শহীদ মিনারটি। সামনেই একটি টিনের ঝুপড়ি, বন্য গাছ-গাছালি, ইট-বালুসহ নির্মাণ কাজের সরঞ্জামাদি দেখা গেছে। শহীদ মিনার স্থলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা খুবই নাজুক।
এদিকে অরক্ষিত অবস্থায় মিনারটি ফেলে রেখে শহীদদের অসম্মান করা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের।
জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে লক্ষ্মীপুর রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া সড়কে (জিরো পয়েন্ট এলাকা) ওই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকায় মিনারটির অবস্থান। যেখানে ২১ বছর ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আর গত ১৪ বছর ধরে একটি ফুলও পড়েনি মিনারটিতে। প্রশাসন থেকে শুরু করে কেউই সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপন জানান, পুরনো শহীদ মিনারটি জেলা পরিষদের আওতাধীন। সেখানে একটি মার্কেট করার কথা রয়েছে। কিন্তু শহীদ মিনারটিও ভাঙছে না, আবার মার্কেটও করছে না। সেটি এখন অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।