মুকুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা গাইবান্ধা

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুকুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা গাইবান্ধা

মুকুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা গাইবান্ধা

 

ঋতুরাজ বসন্ত। আর এই বসন্তের শুষ্ক আবহাওয়ায় চারিদিকে নজর কাড়ে সবুজের সমাহার। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়েছে সোনালী রঙের আমের মুকুল।মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চল।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দাদের বাসা-বাড়িতে রোপণ করা আম গাছগুলোতে সম্প্রতি ফুটেছে মুকুল। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, অনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন আম বাগান। এছাড়া অফিস-আদালত কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দোলা দিচ্ছে মুকুল। প্রকৃতির খেয়ালে স্বর্ণালিরূপ ধারণ করেছে আবহমান গ্রামবাংলা।

জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল এসেছে। এবারে এসব মুকুল থেকে বেশি পরিমাণ পরিপক্ক আম পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে গাছগুলোতে ওষুধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা গ্রহণ করছে।

বিজ্ঞাপন

সাঘাটা এলাকার মেনহাজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, গাইবান্ধা জেলার এমন কোন বাড়ি নেই যে, যাদের বাড়িতে আমগাছ নেই। তাই প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়ছে আমের মুকুল। শুধু আমের মুকুলই নয়, কাঁঠাল, লিচু লেবু প্রভৃতি ফলের গাছের ফুলের গন্ধে চারিদিকে সুবাতাস বইছে। এসব মুকুলে সুবাস যেন মুগ্ধ করে তুলেছে মানুষকে।

সুন্দরগঞ্জের এলাকার কৃষক এনামুল হক কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আমচাষ করেন। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিদেশি জাতের আমগাছগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছে। এবারে আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে। প্রত্যাশামূলক ফল পেতে সঠিক যত্ন নিচ্ছেন গাছগুলোর।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, এ জেলার মাটি আম গাছের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ এলাকায় কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম চাষ করেছেন। তাদের বাগানে বেশ মুকুল দেখা দিয়েছে। তারা যেন লাভবান হতে পারে, সেদিকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।