মাংসের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি, অসহায় গাংনী পৌরসভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
দাম নির্ধারণ করে নোটিশ টানালেও কাজ হচ্ছে না,  ছবি: বার্তা২৪.কম

দাম নির্ধারণ করে নোটিশ টানালেও কাজ হচ্ছে না, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের মাংসের বাজারে চলছে নৈরাজ্য। সরকার নির্ধারিত দামের তোয়াক্কা না করে গরু মাংস প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা ও খাসির মাংস ৭০০-৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ নিয়ে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কয়েক দফা বাকতিণ্ডার পর হস্তক্ষেপ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে উপজেলা প্রশাসক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম।

একুশের সকালে জোড়পুকুর গ্রাম থেকে গাংনী বাজারে মাংস কিনতে আসেন আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক। সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দরে মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। অথচ যেখানে তারা মাংস বিক্রি করছেন, ঠিক তার উপরে টিনের ছাউনির সঙ্গে পৌরসভা মাংসের দরের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছে। সেখানে গরুর মাংসের দাম ৫২০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংসের দাম ৬৫০ টাকা কেজি লেখা। এ কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই ব্যবসায়ীরা চড়াও হন। নিরুপায় হয়ে পৌর মেয়রকে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই।

নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি না করায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় মেয়রের,  ছবি: বার্তা২৪.কম

পরে কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে মাংসের বাজার পরিদর্শনে আসেন পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাস। দাম বাড়ানোর বিষয়ে সদুত্তোর দিতে না পারায় এ সময়
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেয়রের বাকবিতণ্ডা হয়।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা কোনো নিয়ম-কানুন মানেন না। ক্রেতাদের জিম্মি করে বেশি টাকায় মাংস বিক্রি করছেন। বিষয়টি বারবার উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

জানতে চাইলে দর বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করে খাসির মাংস বিক্রেতা খোকন মিয়া বলেন, ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে লোকসান হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, গরু ও ছাগলের দামা বাড়ায় সরকার নির্ধারিত দরে মাংস বিক্রি করা যাচ্ছে না। তাই নিজেদের মতো করেই তারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।

পুনরায় দর নির্ধারণের জন্য প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন গরুর মাংস বিক্রেতা হযরত আলী।

এদিকে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমান।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;