‘মা ও শিশু মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায়’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

সরকারি নানা ব্যবস্থাপনার ফলে শিশু ও মায়ের মৃত্যু শূন্যের কোটায় উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ক্ষমতাগ্রহণের পর মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর পরিকল্পনা নিতে নির্দেশনা দেন। সে মতো মায়েদের গর্ভধারণের পর থেকে সঠিক খাবার নিশ্চিত করা শুরু হয়। পাশাপাশি তাদের ধারণা দেওয়া হয় এ সময়ে কোনটা সঠিক আর কোনটা সঠিক নয়।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ কর্মসূচির হেলথ ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, একটি শিশু জন্মের পাঁচ বছর পর যে মেধা ও যোগ্যাতা অর্জন করে তা সারাজীবন তার মধ্যে বিরাজ করে। আমরা চাই আজকের শিশুটি যেন সুন্দরভাবে বড় হতে পারে।

পুষ্টিকর খাবার মানেই দামি খাবার নয় উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যগ্রহণ করা খুব জরুরি। কোন খাবারে কী পুষ্টি ও ভিটামিন উপাদান আছে তা সবাইকে জানা দরকার। গর্ভকালীন সময়ে মাকে কিভাবে চলতে হবে তা পরিবার থেকে বলে দেওয়া সবারই দায়িত্ব। এসব বিষয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মজীবী মায়েদের জন্য ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করেছেন সরকার।

হেলথ ক্যাম্প আয়োজনের মধ্য দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিশুটি গর্ভে থেকে শুরু করে সারাজীবন যেন সুস্বাস্থ্যে থাকে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা কতটা জরুরি তা সবাইকে বুঝতে হবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ পরিচালক একেএম শফিউল আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌফিকুর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অলোক কুমার দাস।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মজীবী মা ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।