সবুজ লতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে মিষ্টি কুমড়া
গাইবান্ধার নদী বেষ্টিত উপজেলা সুন্দরগঞ্জ। এ উপজেলার বহ্মপুত্র নদের বুকে জেগে উঠেছে ধুধু বালুচর। সম্প্রতি এসব চরে গজানো সবুজ লতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে গাঢ় কালচে সবুজ রঙের মিষ্টি কুমড়া।
সরেজমিন দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়ার পোড়ার চর, বাদামের চর, কেরানির চর, হরিপুর চর, পকিড়ের চরসহ বিভিন্ন বালুচরে নজর কাড়ছে সবুজের
সমারোহ। এখানকার কৃষকরা ভুট্টার পাশাপাশি চাষ করেছেন হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া। তাদের বপন করা কুমড়া ক্ষেতে ইতোমধ্যে ফুল থেকে ফল আসতে শুরু
করেছে। অন্যান্য বছরের তুলনা এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
পোড়া চরের কৃষক গফুর মিয়া বলেন, গেল বছর ছিল ভয়াবহ বন্যা। পানি নেমে যাওয়ার পর জেগে উঠেছে বিশাল বালুচর। দুই বিঘার এ চরে বপন করেছি হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া। পরিচর্যা শেষে এখন ফল আসতে শুরু করেছে। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আর কিছুদিন পর থেকেই কুমড়া বিক্রি করতে পারব।
কেরানির চরের কৃষক আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে কুমড়ার আবাদ করা হচ্ছে। হাইব্রিড জাতের কুমড়া প্রতিটি পাঁচ থেকে ১০ কেজি ওজনের হয়। বিঘা প্রতি প্রায় ১৫০ মণ কুমড়া ফলবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, এতে তার খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কুমড়া বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ থাকবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজা-ই-মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বালুচর কুমড়া চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। চলতি মৌসুমে উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে ২৫০ হেক্টর জমিতে (বালুচরে) হাইব্রিডসহ বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন কৃষকেরা। তাদের ভালো ফলন পেতে ও লাভবান করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।