মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেল ইমন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এই ফুটওভার ব্রিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমন/ছবি: বার্তা২৪.কম

এই ফুটওভার ব্রিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমন/ছবি: বার্তা২৪.কম

সাভারের আশুলিয়ায় ফুটওভার ব্রিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত এসএসসি পরিক্ষার্থী জোনায়েদ হোসেন ইমন (১৬) মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মারা যায় সে।

বিজ্ঞাপন

ইমন আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার কবিরপুরের অঞ্জনা মডেল হাই স্কুল থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো।

ইমনের বাবা গফুর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ইমন। প্রায় ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সে হেরে গেল।

এর আগে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ওই এলাকার নির্মানাধীন ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তারে জড়ি বিদ্যুতায়িত হয় ইমন। এতে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়েকের বাড়ইপাড়া এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। পরে পুলিশের আশ্বাসে ১ ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষোভকারীরা।

নবীরগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া বাসস্ট্যান্ডের ওই ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন ইমনের বাবা।

তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজের পশ্চিম ও পূর্ব উভয় পাশ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে। ফুটওভার ব্রিজে ওঠার পূর্ব পাশের সিঁড়ির ওপর দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনের তার টানা ছিলো। তবে ফুটওভার ব্রিজের পূর্বপাশের অংশ ছাউনি না দিয়েই কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ব্রিজের উঠার উভয় পাশের সিঁড়ি উন্মুক্ত রেখেই চলে যায় ঠিকাদার ও তার শ্রমিকরা। এই সিড়ি উম্মুক্ত না থাকলে আমি আজ সন্তান হারা হতাম না।

এঘটনায় আশুলিয়া থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।