নদীর মাটি গিলে খাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান!



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ড্রেজারে নদী খনন চলছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

ড্রেজারে নদী খনন চলছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রশাসনের নির্দেশনার কোন তোয়াক্কা না করেই আর্সি নদীর মাটি লোপাট করছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। অভিযুক্ত ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম রুহুল আমিন। তিনি উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ধনপতি খোলা গ্রাম এলাকায় গত দুই মাস ধরে আর্সি নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন তিনি।

ইতিমধ্যে নদীর মাটি লোপাট করে অন্তত ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। স্থানীয় ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা তাকে এসব কাজে বাধা দিলে চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ওই কর্মকর্তাকে দেখে নিবেন বলে নানানভাবে হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ভূমি কর্মকর্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ধনপতি খোলা গ্রাম এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া আর্সি নদীতে প্রায় দুই মাস আগে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসান স্থানীয় বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। এরপর শুরু করেন নদীর মাটি লোপাট। অবৈধভাবে মাটি কাটার ফলে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েন। অনেকের জমি নদীতে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।

পরে এলাকাবাসী বিষয়টি একাধিকবার জানানোর পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রশাসন ওই নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করেন। ওইদিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম আর্সি নদীতে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের সময় চেয়ারম্যান রুহুল আমিনসহ তার কয়েকজন সহযোগীকে আটক করে তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরে এসিল্যান্ড চেয়ারম্যানের সহযোগীদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন।

ড্রেজারে নদী খনন চলছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ওইদিন দুপুরে এসিল্যান্ড অফিস থেকে ছাড়া পেয়ে একইদিন বিকেলেই ফের ড্রেজার চালু করেন ওই চেয়ারম্যান। নদীতে ফের ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন শুরু করার খবর পেয়ে বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) হালিমা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই চেয়ারম্যানকে মাটি উত্তোলনে বাধা দেন। এতে ওই চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ভূমি কর্মকর্তাকে নানানভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন।

ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হালিমা আক্তার জানান, এসিল্যান্ড স্যার তাদের জরিমানা করার পর তারা আবারো নদী থেকে মাটি উত্তোলন শুরু করে। এই সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি উত্তোলনে বাধা দিই। এতে চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে নানানভাবে দেখে নেবার হুমকি প্রদান করেন। পরে আমি বিষয়টি ইউএনও এবং এসিল্যান্ড স্যারকে অবহিত করি। এ ঘটনায় বাঙ্গরা বাজার থানায় রুহুল আমিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে এই বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানান, আমি তহশিলদার হালিমা আক্তারকে কোন প্রকার হুমকি প্রদান করিনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ করেছেন তিনি।

চেয়ারম্যান রুহুল আমিন দাবি করেন, স্থানীয়দের মতামত নিয়েই আর্সি নদী থেকে মাটি উত্তোলন করছেন তিনি। আর সেই মাটি দিয়ে ধনপতি খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট করছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ ঘটনার জন্য জরিমানা করা হয়েছে। তবে অল্প একটু জায়গা ভরাটের বাকি থাকায় তিনি স্থানীয়দের মতামত নিয়ে আবারো ড্রেজার চালাচ্ছেন। এতে কারো কোন ক্ষতি হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

এই বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, তহশিলদার হালিমা আক্তারের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আর্সি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ড্রেজার মালিক মুচলেখা দিয়ে বলেছেন তারা আর নদীর মাটি উত্তোলন করবেন না। যদি এরপরও মাটি উত্তোলন করে থাকেন, তাহলে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;