শান্ত সাগরে বিপথগামী রোহিঙ্গারা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
বছরের এই সময়ে বেশ শান্ত বঙ্গোপসাগর | ছবি: বার্তা২৪.কম

বছরের এই সময়ে বেশ শান্ত বঙ্গোপসাগর | ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগর এখন শান্ত। সাগরে নেই বুক কাঁপানো ঢেউ, নেই মাছ ধরার ট্রলারডুবির খবর। এসব নেই-এর মাঝেও আছে দালালদের নির্যাতন ও সাগরের ফেলে দেওয়ার ভয়! গন্তব্য মালয়েশিয়া হলেও কিছু দূর নিয়ে গিয়ে কক্সবাজারেরই বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বলছি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কথা।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি সত্ত্বেও সাগরপথে মানবপাচার থামানো যাচ্ছে না। উপকূলীয় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার করা হচ্ছে মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের।

জানা যায়, জেলে নৌকায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য পাচারকারীরা কক্সবাজারের উপকূলের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ব্যবহার করছে। সেগুলো হলো— টেকনাফের শামলাপুর, শীলখালী, রাজারছড়া, নোয়াখালীপাড়া, জাহাজপুরা, শাহপরীর দ্বীপ, কাঁটাবনিয়া, মিঠাপানির ছড়া, জালিয়াপালং, ইনানী, হিমছড়ি, রেজুখাল, কুতুবদিয়াপাড়া, খুরুশকুল, চৌফলদন্ডী ও মহেশখালী। এ ছাড়া সীতাকুণ্ড ও মাঝিরঘাট এলাকা হয়েও ট্রলারে মানবপাচার হয়ে থাকে।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নারীরা

মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন স্থানীয়সহ বেশ কয়েক রোহিঙ্গা নেতা। তারা সবাই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী মানবপাচারকারী কয়েকজন রোহিঙ্গাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে ২৩৯ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসব ঘটনায় বিভিন্ন দালালের নামে ১৬ মামলা দায়ের করা হয়। আটক করা হয় অন্তত ৪১ জনকে। এছাড়াও সাগরপথ পাড়ি দিতে গিয়ে ট্রলারডুবে নিহত হয়েছে ২১ জন রোহিঙ্গা।

উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে, গত শনিবার ভোরে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতিকালে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া কয়েকটি এলাকা থেকে ২১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১২ নারী ও ৯ পুরুষ রয়েছেন। তারা সবাই বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একই এলাকা থেকে মালয়েশিয়াগামী ৬ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। একই এলাকা থেকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৭ রোহিঙ্গা নারী-উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও মহেশখালী থেকে ২১ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নুর বেগম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, মালয়েশিয়াতে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা মিলে আমাকে স্বামীর কাছে পাঠাতে দালালের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বৈধপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথেই যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নারীরা

উদ্ধার হওয়া আরেক রোহিঙ্গা যুবতী সানজিদা বেগম বলেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা যুবকদের সাথে বিয়ে দিতে দালালরা সুন্দরী যুবতীদের টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া পাচার করছেন। সেটি আমি এখন জানতে পেরেছি।

ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বার্তা২৪.কমকে বলেন, মানবপাচারবিরোধী সচেতনা বৃদ্ধিতে উখিয়া-টেকনাফের প্রত্যেক ক্যাম্পের ইনচার্জকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারা প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন নেতা, মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে মানবপাচারবিরোধী প্রচারণা চালান।

এদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিভিন্ন দালাল চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা প্রথমে ক্যাম্প ছাড়ে। তারপর চলে মালয়েশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা। তবে বেশির ভাগ পরিকল্পনায় নস্যাৎ করে দিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ২৩৯ জন রোহিঙ্গাকে। মানবপাচার নিয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ১৩৮ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এতে ২১ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ দালালকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করে কোস্টগার্ড। এ মামলায় এ পর্যন্ত নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;