টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে গভীর পাহাড়ে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপের সাতজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২ মার্চ) ভোরে জাদিমোড়া-মোছনির গভীর পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা না গেলেও তারা সবাই কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত জকি গ্রুপের সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সদরদফতরের মেজর রইসুল ইসলাম মনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নিহত ডাকাত দলের সদস্যদের কাছে থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আশপাশে ব্যাপক র্যাব সদস্য মোতায়েন আছে।’
এদিকে, টেকনাফে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাত আরও এক মাদক কারবারী নিহত হয়েছেন। এ সময় বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে টেকনাফের জাদিমোড়া খাল সংলগ্ন এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ বিজিবির কমান্ডার লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান।
তিনি জানান, সোমবার রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নয়াপাড়া বিওপির বিশেষ টহল দল মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে জাদিমোরা খাল সংলগ্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মাদকের চালান নিয়ে নৌকাযোগে কয়েকজন ব্যক্তি কিনারায় উঠে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে মাদক কারবারীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির ৩ সদস্য আহত হন। পরে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দেড়লাখ ইয়াবা, ১টি দেশীয় অস্ত্র ও ২ রাউন্ড তাঁজা কার্তুজসহ গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ও আহত সদস্যদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
আহত বিজিবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা অন্য সহযোগীদের আটক সম্ভব না হওয়ায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।