কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক এখন 'মহাদুর্ভোগ'



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক এখন 'মহাদুর্ভোগ'

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক এখন 'মহাদুর্ভোগ'

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক। দেশের ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক এটি। তবে বর্তমানে এই মহাসড়কে প্রতিনিয়ত মহাদুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা সংস্কার কাজের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।

জানা গেছে, বর্তমানে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা সদরের দেড় কিলোমিটার এলাকা। বিকল্প সড়ক তৈরি না করে সংস্কার কাজ চলায় এই এলাকায় যানবাহনগুলোকে যানজটে আটকা পড়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এছাড়া এখনও দখলমুক্ত হয়নি সড়কের দুই পাশের জায়গা।

ধুলাবালিতে মহাসড়ক দিয়ে হাঁটা-চলাও এখন দায় হয়ে পড়েছে

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের জুন মাসে কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অংশ পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪০ কিলোমিটার এলাকার সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয় । এরপর ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ের কাজটি পায় ‘মেসার্স হাসান টেকনো বিল্ডার্স’ ও ‘মেসার্স সোহাগ এন্টারপ্রাইজ’। পরে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে সংস্কার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজটির শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলমান ধীরগতির কারণে সময় আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে দেবিদ্বারে মাইকিং করে শুক্রবারের (২৮ ফেব্রুয়ারি)  মধ্যে সওজের জায়গা থেকে সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা, দৈনিক বাজার, সিএনজি ও রিকশা স্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে অজানা কারণে এখনো (৩ মার্চ সোমবার বিকেল পর্যন্ত) সব কিছুই আগের মতো বহাল রয়েছে। মহাসড়কটির দেবিদ্বার অংশের নিউ মার্কেট বাসস্ট্যান্ড ও জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর সামনে দু'টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরের কারণে সড়কটির এই অংশে গাড়ি চলাচলে আগে থেকেই সমস্যা হচ্ছিল। তবে সংস্কার কাজ শুরু করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করেনি। আর চলাচলে বাধা হয়ে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিও সরানো হয়নি। এর মধ্যে মহাসড়কের অর্ধেকটা কেটে সংস্কার কাজ শুরু করায় গত প্রায় তিন মাস ধরে মহাসড়কের এই অংশে মহাদুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।

মহাসড়কটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা সদরের দেড় কিলোমিটার এলাকা

এছাড়া সড়কটির একপাশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে সড়ক সংস্কার কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরম আকারে দেখা দিয়েছে। আর ধুলাবালিতে মহাসড়ক দিয়ে হাঁটা-চলাও এখন দায় হয়ে পড়েছে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.রাকিব হাসানও সড়কটির সংস্কার কাজ এভাবে চলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, সকল বিষয়  নিয়ন্ত্রণ করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এরপরও মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমি সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেছি। সংস্কার কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করেছি তাদের।

এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মানুষের এই মহাদুর্ভোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হলে কর্তৃপক্ষকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা ময়নামতি থেকে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার ব্রিজ পর্যন্ত চলাচলের জন্য বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করতে হবে। সড়কের দু’পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সওজ'র জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা, দৈনিক বাজার, সিএনজি ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড দ্রুত সরাতে হবে। না হলে এই দুর্ভোগ আরো বাড়বে।

এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, আমরা মানুষের দুর্ভোগ বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই ঠিকাদারদের বলেছি তিন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে। তাদেরকে কাজের গতি আরো বাড়াতেও বলা হয়েছে। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করতে আমরাও তৎপর রয়েছি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;