মুজিববর্ষে আলো জ্বলবে চর সোনারামপুরে



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চরের চারপাশে বসছে বিদ্যুতের খুঁটি/ছবি: বার্তা২৪.কম

চরের চারপাশে বসছে বিদ্যুতের খুঁটি/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর বুক চিরে জন্ম নেয়া বিচ্ছিন্ন একটি চরের নাম চর সোনারামপুর। আশুগঞ্জ বন্দর থেকে আধা কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।

এটি আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এই চরে চার হাজার মানুষের বসবাস। প্রধানত মাছ বিক্রি ও নৌকা চালিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসহ অনেক কিছু থেকেই যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত এই চরের মানুষ।

চরটির পূর্ব পাশে অবস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বন্দর ও শিল্প নগরী আশুগঞ্জ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দু-এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধে মেঘনার উভয়পাড়ে জ্বলে ওঠে হাজারো বাতি। অথচ যুগের পর যুগ ধরে বৈদ্যুতিক সুবিধাবঞ্চিত রয়েছে আশুগঞ্জের এ চরবাসী।

চরের বাসিন্দাদের প্রায় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়া হবে

শতবর্ষ পর মুজিববর্ষের প্রথমদিকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চর সোনারামপুরের বাসিন্দারা পেতে যাচ্ছে বিদ্যুতের সুফল। এরই ধারাবাহিকতায় চরের চারপাশে বসছে বিদ্যুতের খুঁটি। আর এসব দেখে আনন্দে আত্মহারা চরের বাসিন্দারা।

জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠে চর সোনারামপুর। পরে সেখানে বসতি গড়ে ওঠে। চরের পশ্চিম তীরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বন্দর। দক্ষিণে মেঘনার ওপর নির্মিত দুটি রেল ও একটি সড়ক সেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বন্দর ও ভৈরব বন্দরকে যুক্ত করেছে। আর উত্তরে চরের বুক চিরে রয়েছে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের ২৩০ কেবি বিশাল সঞ্চালন টাওয়ার। নিজ উপজেলায় (আশুগঞ্জ বন্দরের মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে) অবস্থিত দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয় বিদ্যুৎ। চারিদিকে হাজারো বাতির আলোর ঝলকানি থাকলেও তাদের চোট্ট দীপটিও একদিন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে এতদিন এমন স্বপ্ন দেখে যাচ্ছিল অবহেলিত চরটির অধিবাসীরা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার ঘোষণায় চরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। ভৌগলিক কারণে চরটিতে বিদ্যুতায়ন কঠিন হলেও মুজিববর্ষেই বিদ্যুতের আলো জ্বলবে চর সোনারামপুরে। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছে যাবে ১১ কেভি লাইন। প্রায় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়া হবে সেখানে।

আশুগঞ্জ বন্দর থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চর সোনারামপুরের অবস্থান 

বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার ১৩ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণের সক্ষমতা বাড়াতে এ নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে খরচ হবে এক হাজার ৪৫৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা সদর উপজেলা, চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম ও বুড়িচং উপজেলা; ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলা; চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর উপজেলা; নোয়াখালী জেলার মাইজদি উপজেলা, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা; ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলা এবং লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর সদর উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিতরণ বিভাগ) আশুগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, কুমিল্লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় সাব মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর নিচে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে চরটিতে। ইতোমধ্যে নদীর পাড়ে টাওয়ার স্থাপন করে সাবস্টেশন থেকে তার টানা হচ্ছে। চরে বসানো হচ্ছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। মুজিববর্ষে চরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার টার্গেট নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী কুমিল্লার ৬টি জেলার ১৩টি উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ করতে প্রয়োজনীয় সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা একটি বিদ্যুৎ জোন। অথচ দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল চরের লোকজন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তাদের এ দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে- এটা ইতিবাচক। এতে করে আশুগঞ্জ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসবে।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;