ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরীক্ষামূলক ভাবে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম শুরু, ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরীক্ষামূলক ভাবে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম শুরু, ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার হাজীপুর গ্রামে শ্রীকাইল পূর্ব-১ নামে নতুন একটি গ্যাসকূপ থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে গ্যাস স্তরের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার খবর দেয়া হয় বাপেক্সের পক্ষ থেকে। ৩ হাজার ৬৫ মিটার গভীরে অবস্থিত এই গ্যাস স্তর থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানায় তারা। কাছাকাছি প্রসেস প্লান্ট থাকায় মাত্র ১০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

বাপেক্স ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, ত্রি-মাত্রিক ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের পর গ্যাসের অস্তিত্ব জানতে পারে বাপেক্স। পরে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম হাজীপুর গ্রামের জমির মাঝে রিগ বসিয়ে প্রকল্পের খনন কাজ শুরু করে। পরে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি খনন কাজ শেষ হয়। গতকাল রাত থেকে পাইপের মুখে আগুন দিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে এই কূপে গ্যাসের চাপ বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আরও অধিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রসেস প্লান্টের মাধ্যমে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এতে করে গ্যাসের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে প্রকল্পটি নবীনগর উপজেলা ও কুমিল্লার মুরাদনগরের শ্রীকাইল এলাকায় হওয়ায় এটি নবীনগর উপজেলার নামে নামকরনের দাবি জানান সেখানকার সাধারণ মানুষ।

প্রকল্পের খনন অধিকর্তা মহসিনুল আলম জানান, ৩ হাজার ৬৫ মিটার গভীরে অবস্থিত এই গ্যাস স্তর থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। নবীনগরের সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী এই প্রকল্পের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাপেক্সের ডিএস (অপারেশন) নজরুল ইসলাম জানান, নতুন এই কূপ থেকে গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে ১০ কিলোমিটার দূরের কুমিল্লার শ্রীকাইলে কমপ্রেসার স্টেশনে নিতে হবে। সেখানে এই উত্তোলন করা গ্যাস পরিশোধনের পর পাইপ লাইনে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। যার কারণে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষারও প্রয়োজন আছে। তবে দ্রুতই এসব কাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।