ঝুলে আছে আজমিরিগঞ্জের ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, বেকার যন্ত্রাংশ



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
জমি সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে আজমিরিগঞ্জের ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কাজ

জমি সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে আজমিরিগঞ্জের ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

জায়গা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দীর্ঘ দুই বছর ধরে আটকে আছে ‘ভাটি বাংলার রাজধানী’ খ্যাত আজমিরিগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ কাজ। ফলে ছোট-খাট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বিপুল পরিমাণ জান-মালের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় উপজেলাবাসীকে।

এরইমধ্যে স্টেশনটির জন্য গাড়ি ও স্পিডবোটসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেগুলো জেলা কার্যালয়ে বেকার পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না করায় দিন দিন সেগুলো নষ্ট হচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রতিনিয়ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এতে সম্পদের ক্ষতি হয়। প্রতি বছর অনেক প্রাণহানিও ঘটে। সরকার এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করছে। এরই অংশ হিসেবে আজমিরিগঞ্জ উপজেলায়ও ফায়ার স্টেশন নির্মাণের অনুমোদন আসে।

অনুমোদনের পর ২০১৮ সালে একটি খাস জমিতে স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন যে জায়গাটি স্টেশনের জন্য নির্ধারণ করে সেই জায়গাটি নিজের মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এরপর সেখানে আটকে যায় ভবন নির্মাণের কাজ। কিন্তু দুই বছর অতিবাহিত হলো এখন পর্যন্ত নতুন জায়গা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ- বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন জোরালো ভূমিকা না রাখার কারণে মূলত এখনো জায়গা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় উপজেলাবাসীকে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন না থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বানিয়াচং উপজেলা স্টেশনের কর্মীদের আসতে হয়। ফলে দীর্ঘ ১০/১২ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এদিকে, এখন পর্যন্ত ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা না হলেও স্পিডবোট ও গাড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেগুলো জেলা স্টেশনে বেকার পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়া অনেক যন্ত্রাংশ নষ্টও হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খন্দকার বলেন, ‘আজমিরিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু জায়গা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমার পূর্বের ইউএনও একটি জায়গা নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু ওই জায়গার উপর একজন ব্যক্তি মামলা করায় সেখানে নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। এরইমধ্যে একটি জায়গা আমরা দেখে রেখেছি। সেই জায়গাটি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি।’

হবিগঞ্জ জেলা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মো. সামছুল আলম বলেন, ‘এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করায় পূর্বে নির্ধারিত জায়গায় স্টেশন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন আমরা নতুন জায়গার সন্ধান করছি। জায়গা পেয়ে গেলেই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্টেশনটির জন্য পানি পরিবহনের গাড়ি এবং হাওর অঞ্চলীয় উপজেলা হওয়ায় একটি অগ্নি স্পিডবোট এরইমধ্যে বরাদ্দ পেয়েছি। এছাড়া যাবতীয় যন্ত্রাংশও জেলা কার্যালয়ে রয়েছে। শুধুমাত্র ভবনটি নির্মাণ হয়ে গেলেই সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;