সূর্যমুখীতে স্বপ্ন বুনছেন চুনারুঘাটের কৃষকরা

  • এম এস জিলানী আখনজী, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সূর্যমুখী ফুল, ছবি: বার্তা২৪.কম

সূর্যমুখী ফুল, ছবি: বার্তা২৪.কম

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় প্রথমবারের মতো তেল ফসল হিসাবে সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে। আর তাতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর নরপতি, শাইলগাছসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ২শত বিঘা জমিতে বেশ কয়েকজন কৃষক প্রণোদনা কর্মসূচী ও রাজস্ব বাজেটের আওতায় হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে গাছে ফুল ধরেছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার লোকজন ফুল দেখতে ভিড় করছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৬ মার্চ) সরেজমিনে ৬নং সদর ইউনিয়নের নরপতি ও শাইলগাছ গ্রাম এবং এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সূর্যমুখীর বাগানে সূর্যমুখী চাষিদের সাথে কথা। তাদের মধ্যে ছুরুত আলী জানান, আগে জমিতে সবজি চাষ করা হত। এবছর উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে প্রথমবারের মতো হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। সূর্যমুখী চাষে সফলতা ও লাভের আশা করছেন তিনি।

চুনারুঘাট উপজেলায় প্রথমবারের মতো তেল ফসল হিসাবে সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে

একই গ্রামের চাষি রনি মিয়া জানান, কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এ বছরই সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার, অন্যান্য উপকরণ, প্রশিক্ষণ ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। ফুল আসার পর প্রতিদিনই লোকজন আসছেন বাগান দেখতে।

বিজ্ঞাপন

এবিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সৈয়দ সাইদুর রহমান বলেন, আমার ব্লকে এ এলাকার জন্য নতুন ফসল সূর্যমুখী, ৩০টি প্রদর্শনী স্থাপন করছি, প্রত্যেকটি প্রদর্শনীরই অবস্থা ভালো। ফলনও আশা করি ভালো হবে।

 সূর্যমুখীর চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকরা

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, প্রথমবারের মতো চুনারুঘাটে ২শ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে রাজস্ব বাজেট এবং প্রণোদনার আওতায় কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ, সার, অন্যান্য উপকরণ, প্রশিক্ষণ ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। আশা করি ফলন খুবই ভালো হবে এবং এগুলো দেখে অন্যান্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে চাষ করবেন। এতে করে আমাদের দেশের তেলের ঘাটতি পূরণ হবে এবং কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।