বাঁচার জন্য ভেতরে আর্তনাদ করছিলেন ৬ জন

  • আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এই গাড়িতেই পুড়ে মারা যান ৬জন, ছবি: বার্তা২৪.কম

এই গাড়িতেই পুড়ে মারা যান ৬জন, ছবি: বার্তা২৪.কম

চোখের সামনেই পুড়ে যাচ্ছিল তরতাজা ছয়টি প্রাণ। বাচাঁর জন্য আর্তনাদ করছিলেন তারা। পেছনে যারা বসে ছিলেন তারা আটকা পড়েন। নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যান আটকে পড়া সবাই। আগুনের ভয়ে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসা এলাকাবাসী তাদের কাছে যেয়ে বাঁচানোর সাহস পাচ্ছিলেন না। এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আসেন প্রায় এক ঘণ্টা পর।

শুক্রবার (৬ মার্চ) ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের ভাটি-কালিসিমা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাইক্রোবাসের সঙ্গে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ঢাকাগামী লিমন পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সাথে সাথেই মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। মাইক্রোবাসের ভেতরে আটকা পড়ে সাগর মিয়া (২২)সহ শাকিল (২৫), সোহান (২০), ইমন (১৯), রিফাত (১৬) ও হারুন (৪০) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: বাঁচার জন্য ভেতরে আর্তনাদ করছিলেন ৬ জন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যায়। এদের মধ্যে যারা জানালার পাশে ছিল তারা ছিটকে বাইরে পড়ে গুরুতর আহন হন। তবে পেছনে যারা বসে ছিলেন তারা বের হতে পারছিলেন না। মাইক্রোবাসটিতে আগুন অনেক বেশি থাকার কারণে কেউ এগিয়ে এসে তাদের সাহায্য করতে পারছিলেন না। বাঁচার জন্য মাইক্রোবাসটিতে থাকা যাত্রীরা ছটফট করতে থাকলেও কেউ তাদের সাহায্য করার সুযোগ পাননি।

রামপুরা এলাকার একটি পুকুরের পাহারাদার মো. দানা মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, হঠাৎ বিকট একটি শব্দে আমরা দৌড়ে আসি ঘটনাস্থলে। এসে দেখি মাইক্রোবাসটি জ্বলছে। আর ভেতরে ছয়টি তাজা প্রাণ ছটফট করছিল। বাঁচার জন্য আর্তনাদ দেখছিলাম সবার। পরে আমরা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে কয়েকটি বাস ট্রাকের সাহায্য নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।

তিনি আরো জানান, অনেকক্ষণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ছয়টি প্রাণ। আগুন নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে আসেন।

বিজ্ঞাপন