টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

  • উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজি উল্লাহ (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন। নিহত অজি উল্লাহ ডাকাত টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে কুখ্যাত ডাকাত জকির আহমদের সহযোগী।

এসময় সেনা বাহিনী, র‌্যাব ও মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোষাকসহ তিন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওসি তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৬ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া মাটি ছিড়া পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক ডাকাতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া ক্যাম্পের মৃত আবু তাহেরের ছেলে খুরশেদ আলম (৩৯), জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুর রকিমের ছেলে মো. আমিন (২৫) ও টেকনাফ সদরের রাজারছড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ টেকনাফের হাবিরছড়া মাটিছিড়া পাহাড়ে রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত জকিরের অবস্থানের গোপন খবরে সেখানে অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এস ময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩ টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২৩ রাউন্ড খালি খোসা ও ২ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন বাহিনীর পোষাকসহ গুলিবিদ্ধ আহতসহ ৪ ডাকাতকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কতব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে পৌছলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, নিহত অজি উল্লাহ ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং মাদক কারবারে জড়িত ছিল। সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমুতি ক্ষুণ্ন করতে তারা বিভিন্ন বাহিনীর পোষাকের আদলে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিল। অপরাধ নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ক্যাম্পে ডাকাতি, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারে যারা জড়িত থাকবে তারা রেহাই পাবেনা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’