আজব গ্রাম ‘শৈলান’



মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
শৈলান দিবস

শৈলান দিবস

  • Font increase
  • Font Decrease

আজব গ্রাম শৈলান। যেখানে প্রতি বছরই গ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিশুদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার শপথ করানো হয়। একজনের বিপদে হাত বাড়িয়ে দেয় পুরো গ্রামবাসী। এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করা সকলকে এই দিনে একত্রিত করা হয় প্রতি বছর। রাজধানীর প্রবেশদ্বার ধামরাই উপজেলার একটি আদর্শ গ্রাম এটি।

ঢাকার ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নে অবস্থিত এই শৈলান গ্রাম। এখানে বসবাস করেন ২৭০টি পরিবারের প্রায় ২ হাজার মানুষ। গ্রামের আয়তন প্রায় দেড় বর্গ কিলোমিটার। গ্রামটিতে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাইস্কুল, একটি মাদরাসা, মসজিদ, তিন একর জায়গা নিয়ে একটি কবরস্থান, একটি পাঠাগার এবং রয়েছে একটি ক্লাব। ক্লাবঘর ও পাঠাগারে এসে অবসর সময় কাটিয়ে দেয় এখানকার বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

শপথ বাক্য পাঠ করানো হচ্ছে

গ্রামটির নামানুসারে গত ৫ বছর ধরে প্রতি বছরের মার্চের প্রথম শনিবার পালিত হয় ‘শৈলান দিবস’। দিবসটি ঘিরে এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করা সকল মানুষ সমাবেত হয় শৈলান সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এ যেন গ্রামবাসীর মিলন মেলা। দিবসটিতে দিনব্যাপী চলে খেলাধুলা, সকল গ্রামবাসী একসাথে খায় দুপুরের খাবার। দিবসটির শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও শপথ করানো হয়। শপথে অংশ নেয় শিশু কিশোর থেকে শুরু করে গ্রামের সকল বয়সী মানুষ। শপথে বলা হয় আমি শৈলানের সন্তান, আমি শৈলান গ্রামকে ভালোবাসি। শৈলান গ্রামের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো, আমিন। পরে গ্রামের সকলকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল জুয়েল তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জারাকে নিয়ে এসেছেন শৈলান মাঠে। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গ্রামের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে দিবসটি উদযাপন করতে এসেছি। তারা যেন আমাদের পূর্ব পুরুষের এই ধারা সম্পর্কে জানতে পারে। এই দিবসটিতে শিশুরা শৈশব থেকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার শিক্ষা পায়।

গ্রামবাসী একসাথে দুপুরের খাবার খাচ্ছে

গ্রামের বাসিন্দা আফসার আলী বলেন, আমি আমার মেয়েকে বগুড়ায় বিয়ে দিয়েছি। অনেক দূরে হওয়ায় তেমন যেতে পারি না। তারাও এখানে কম আসে। এই দিবস উপলক্ষ্যে তারা এখানে প্রতিবছরই আসে। আমার অনেক ভালো লাগে। অনেকদিন পরে হলেও এই দিবস উপলক্ষ্যে আমার মেয়ের মুখ দেখতে পারি। এরকম একটি ব্যবস্থা থাকায় আমি গ্রামবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ।

গাজীপুর থেকে আসা গ্রামের জামাই ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এই গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়ি। আমি ব্যবসায়ী মানুষ, সারা বছরই ব্যস্ততায় কাটাতে হয়। শ্বশুরবাড়ি তেমন একটা আসা হয় না। তবে ‘শৈলান দিবসে’ এখানে আসতেই হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। শুধু আমি না এই গ্রামের সকল মেয়ে ও জামাইদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। উদ্দেশ্য হলো সবাইকে একত্রিত করে সম্পর্ক দৃঢ় করা। আমি এখানকার পরিবেশ দেখে অভিভূত। এই গ্রামে আত্মীয়তা করে আমি গর্বিত।

শৈলান দিবসে শিশুরা

শৈলান দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি মাহবুব হোসেন শহীদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের গ্রামের ছেলে-মেয়েরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে। অনেকে দেশের বাইরেও আছেন। দীর্ঘদিন পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হতে পারে না। তাই সকলকে একত্রিত করার একটি মেলা বন্ধন করা হয় এই দিবসে। আমাদের পুরো গ্রামটিই একটি সমাজ। গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গেই সম্পর্ক সৃষ্টি করাই হলো দিবসটির উদ্দেশ্য।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;