দিনভর পরিশ্রম, মজুরি ১৫০ টাকা!
কুড়িগ্রামে কৃষিকাজে নারীদের অংশগ্রহণ পুরুষের থেকে কোনো অংশে কম নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীর অংশগ্রহণই বেশি। তবে নারীদের শ্রম অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে না সঠিক মজুরি। পুরুষ শ্রমিকের মজুরি যেখানে ৪০০ টাকা সেখানে নারী শ্রমিকেরা পাচ্ছেন মাত্র ১৫০ টাকা।
মাঠে কাজ করতে আসা চর গোবিন্দপুর গ্রামের নারী শ্রমিকেরা জানান, কি করবো ভাই কাজ না করলে যে সংসার চলে না। তাই যখন যে কাজ পাই তখন সেটা করি। আমাদের এক একটি পরিবারে ৫-৬ জন সদস্য। তার মধ্যে একজনের দিন মজুরি দিয়ে সংসার চলেনা। তাই আমরা কাজে এসেছি যা আয় হয় তা সংসারে ব্যয় করি।
তারা আরও আক্ষেপ করে বলেন, সারাদিন পরিশ্রম করে ১৫০ টাকা পাই। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। আমাদের দেখার মতো কেউ নেই। পুরুষ মানুষ সারাদিন কাজ করে ৪০০ টাকা পায়, আমরা নারীরা কাজ করে ১৫০ টাকা পাই।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠে ১০-১৫ জন নারী আলু তোলার কাজ করছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের সবার দিন মজুরি ১৫০ টাকা।
মাঠে আলু তোলার কাজ করতে আসা মমেনা, মনোয়ারা ও জেরিনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাঠে কাজ করতে আসা সবাই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পযর্ন্ত জমিতে আলু তোলার কাজ করতে হয়। কাজ শেষে সারাদিনের মজুরি ১৫০ টাকা দেয়া হয়। তবে অন্যান্য এলাকায় ২০০-২৫০ টাকা দিন মজুরি পান নারী শ্রমিকেরা।
কুড়িগ্রাম মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহানা আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, কুড়িগ্রামের নারীদের জন্য শতভাগ মজুরিতে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। বিছিন্নভাবে যে সব নারীরা কাজ করছে, তারা মজুরি কম পাচ্ছে। তবে আমরা নারীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াচ্ছি যেন তারা কম মজুরিতে কাজ না করে।
জমির মালিক শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, আমাদের এখানে নারীদের পারিশ্রমিক ১৫০ টাকা দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলেই আমি কাজে নিয়েছি।