বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে প্রস্তুত টুঙ্গিপাড়া
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে গোপালগঞ্জসহ টুঙ্গিপাড়াবাসী। ইতোমধ্যে মুজিব বর্ষ উদযাপন ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে । বর্ণিল পতাকা আর শত শত তোরণ দিয়ে টুঙ্গিপাড়াকে সাজানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স সাজানো হয়েছে নবরূপে ।
জানা যায়, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে নিপীড়িত, নিষ্পেষিত মানুষের অধিকার আদায়ে লড়ে গেছেন আমৃত্যু । নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। আর এই প্রিয় নেতার শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলা প্রশাসন। একই সাথে মুজিববর্ষ উদ্যাপন ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়াকে নবরূপে সাজিয়েছে টুঙ্গিপাড়াবাসী । এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুশিল্পীরা । বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নবরূপে সাজানো হয়েছে । গোপালগঞ্জ শহরসহ টুঙ্গিপাড়ায় অসংখ্য তোরণ বানানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। জেলার সর্বত্র সাজ সাজ রব।
টুঙ্গিপাড়া পৌর আ’লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আমরা প্রস্তুত আছি । টুঙ্গিপাড়ায় ১৭ মার্চের অনুষ্ঠান আনন্দমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এমনটাই চাইছি।
টুঙ্গিপাড়া কৃষকলীগের সভাপতি মিলন মোল্লা জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি । এদিন সবাই আনন্দ উল্লাস করবে । ইনশাল্লাহ সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা জানান, যেহেতু টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার জন্মস্থান, তাই আমরা এই জায়গাতে দিনটিকে (১৭ মার্চ) অনেক স্পেশালভাবে উদ্যাপন করতে চাই। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতির জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন ছিল তা ইতোমধ্যেই প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে যা কিছু আয়োজন করা দরকার ছিল তা সমাপ্তির পর্যায় । একই সাথে পুরো বছরেই আমাদের অনেক প্লান আছে, যে প্লানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আমরা ১৭ তারিখ থেকে শুরু করব।