বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি আকড়ে আছে টুঙ্গিপাড়ার খেলার মাঠ

  • মাসুদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গোপালগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি আকড়ে আছে টুঙ্গিপাড়ার খেলার মাঠ

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি আকড়ে আছে টুঙ্গিপাড়ার খেলার মাঠ

সবুজ-শ্যামলে ঘেরা গোপালগঞ্জের পাটগাতী ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রাম। আর এই গ্রামেই কেটেছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরকাল । ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী । টুঙ্গিপাড়ার খেলার মাঠে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে প্রিয় ফুটবল ছাড়াও বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠতেন । আজও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি আকড়ে আছে শৈশবের সেই খেলার মাঠটি।

১৯২০ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করা শেখ মুজিব ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলতে বেশি পছন্দ করতেন। তিনি তার প্রিয় ফুটবল নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার খেলার মাঠে দুরন্তপনায় মেতে উঠতেন । ভালো ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি । ফুটবল ছাড়াও মাঠটিতে তিনি তার বন্ধুদের নিয়ে খেলেছেন দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু, ফুটবলসহ নানা খেলা । শুধু রাজনীতির মাঠ নয়, খেলার মাঠেও আকর্ষণীয় চরিত্রের অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ভালো খেলোয়ার হওয়ায় খেলার মাঠেও তিনি নেতৃত্ব দিতেন । বাল্যকালে খেলার মাঠ থেকে উঠে আসা সেই দক্ষ নেতাই সারা বাংলার প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধুর শৈশবের খেলার মাঠ

ইউনুস আলী নামে এক বঙ্গবন্ধুপ্রেমী জানান, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে । বঙ্গবন্ধুকে চোখে দেখিনি। তাই এখানে এসে তার শৈশবের খেলার মাঠ, হিজলতলা ঘাটসহ স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান দেখে অনেক কিছু জানতে পারছি।

আশিকুর রহমান নামে এক দর্শনার্থী জানান, আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। কারণ তিনি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছেন। এখানে এসে তার স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখছি, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসের অনেক কিছুই জানতে পারছি।

বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধুর শৈশবের খেলার মাঠ

পর্যটক ও শিশু-কিশোরসহ বঙ্গবন্ধুপ্রেমী মানুষ টুঙ্গিপাড়ায় মাজারে এসে যাতে বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারে এজন্য তার শৈশবের স্মৃতিচিহ্ন আঁকা খেলার মাঠসহ স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ ।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মীর্জা জানান, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন যেখানে যেখানে পড়েছে, সেটাকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।