দিবস এলেই কদর বাড়ে লাঠি খেলার



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুজিব বর্ষের প্রথম দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় লাঠি খেলা দেখতে উৎসুক সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বাদ্যের তালে তালে নানা রং-য়ে ঢং-য়ে নেচে গেয়ে দর্শকদের আনন্দ দিচ্ছেন খেলোয়াড়রা। তবে তাদের নেই কোনো সরকারি-বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা। শুধু উৎসব এলেই কদর বাড়ে এই বিলুপ্তপ্রায় খেলার। এরই মধ্যে প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে দা-য়ের একটি খেলা। তাই খেলোয়াড়দের দাবি সরকারিভাবে এই খেলাকে সার্বিক সহযোগিতা করার।

সরজমিনে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) আশুগঞ্জ লাঠি খেলা দেখতে গিয়ে জানা যায়, ঠিক কবে থেকে লাঠি খেলা বাঙালি ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে তা জানা নেই। তবে ব্রিটিশ আমলেরও আগ থেকে বিভিন্ন এলাকায় এই খেলা প্রচলিত আছে।

লাঠি খেলা দেখতে উপচে পড়া ভিড়/ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলেও লাঠি খেলা দেখানোর একটি গ্রুপ রয়েছে। জেলা থেকে একমাত্র তারাই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে লাঠি খেলা দেখিয়ে আসছে। বাপ-দাদার কাছ থেকে পাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী খেলাকে শুধুমাত্র মানুষের আনন্দ দেয়ার জন্য খেলোয়াড়রা এই খেলা খেলেন। মোবাইল ও ভার্চুয়াল জগতের নানান খেলার ভিড়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাটি আজ বিলুপ্তপ্রায়।

সারাবছর এই খেলা নিয়ে খোঁজ থাকে না কারোর। খেলোয়াড়রা নিজের পকেটের টাকা দিয়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য খেলে যাচ্ছেন। দর্শকদের বিনোদন দিতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এই খেলাকে পরিচিত করার জন্যই এই আয়োজন সবসময়ই করা দরকার বলে মনে করছেন খেলোয়াড়রা। বর্তমানে সরাইল লাঠি খেলার গ্রুপে প্রায় ৪০ জন রয়েছেন। কিন্তু প্রত্যেকেই অন্য পেশার সাথে যুক্ত।

নানা ঢঙে খেলোয়াড়রা দেখান লাঠি খেলা/ছবি: বার্তা২৪.কম

লাঠি খেলোয়াড় সরাইলের বিশুতারা এলাকার ফয়সাল র্বাতা২৪.কমকে জানান, লাঠি খেলা সবসময় থাকে না। তাই অন্য পেশায় নিজেকে যুক্ত করেছি। তারপরেও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য রক্ষায় কেউ দাওয়াত করলে কাজ ফেলেই চলে আসি। তবে খেলতে এসে যে টাকা পাই এতে করে আমাদের সংসার চালানো দায়।

একই এলাকার ইয়াকুব আলি বার্তা২৪.কমকে জানান, বাপ-দাদারা এই খেলা আমাদের শিখিয়ে গেছেন। তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনও খেলে যাচ্ছি। তবে নতুন প্রজন্ম এই খেলাটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এই খেলাটি ধরে রাখতে সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে কোন সহযোগিতা আমরা পাই না।

দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ খেলা/ছবি: বার্তা২৪.কম

সরাইল লাঠি খেলা গ্রুপের পরিচালক আনু মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটিকে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই অনেকে খেলার পাশাপাশি ব্যবসা কিংবা চাকরি করতে হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন সরাইলের লাঠি খেলার পরিচালক আনু মিয়া।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বার্তা২৪.কম-কে জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে আমরা তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত করা হয়। তাদের জীবন জীবিকা রক্ষার জন্য যে কোন ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তাদের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবেও যোগাযোগ করব। এছাড়াও খেলা দেখাতে গিয়ে তাদের যে সমস্যাগুলো হয় তা শুনে সমাধানের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবো।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;