ঢাকা ছাড়ছে মানুষ



মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারেণে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই প্রতিরোধেই একমাত্র ভরসা। শুধুমাত্র কিছু সতকর্তা অবলম্বন করলেই এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাই সতর্কতা সৃষ্টির মাধ্যমে ও গণজমায়েত রোধে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার।

এরই অংশ হিসাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, বিভিন্ন সভা সমাবেশ, ওয়াজ মাহফিল, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, রেস্টুরেন্টসহ গণজমায়েত হয় এমন সকল স্থান ও কর্মকাণ্ড বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বিয়েসহ বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠান ঘরোয়াভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে একটি জেলা ব্যতীত আন্তঃজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থায় এই ভাইরাসে তেমন প্রভাব এখনো পড়েনি। আর এই সুযোগে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই।

শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে সাভার, নবীনগর, বাইপাইল বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়। করোনাভাইরাসের কারণে পরিবহন বন্ধ ঘোষণা হতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেকে গ্রামে যাচ্ছেন। তবে রাজধানী ঢাকাতে বসবাস করা মানুষ এভাবে গ্রামে গেলে সেখানেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

গাড়ির অপেক্ষায় বসে আছেন যাত্রীরা

আশুলিয়ার বাইপাইলের বাসের টিকেট কাউন্টারে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা পোশাক শ্রমিক সুমন। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশ থেকে কারখানার কাঁচামাল না আসায় কারখানা ১৫ দিনের জন্য ছুটি দিয়েছে তাই আমার গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাচ্ছি। তাছাড়া করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় থাকার দরকার কি।

আশুলিয়ার নবীনগর কাউন্টারে বাসের টিকেট কিনছেন ফারজানা। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি গৃহিণী। বাসায় থাকি। আমার স্বামী বাইরে কাজ করেন। সারাদিন চাকরির কারণে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় তার। তিনি জোরপূর্বক আমাকে বাড়িতে পাঠাচ্ছেন। করোনার ভয়ে তিনি আমাকে আর ঢাকায় থাকতে দিচ্ছেন না। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর যাচ্ছি।

বাইপাইলে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আকাশ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে টিকেট বিক্রির চাপ তুলনামূলক একটু বেশি। অনেক কারখানা ছুটি দিয়ে দিয়েছে। অনেকে বাসায় থেকে লেখাপড়া করতো তারাও গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। এছাড়া করোনার প্রভাবে পরিবহনের একটু সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য অনেক যাত্রী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে।

গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠছেন যাত্রীরা

হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মিলন মিয়া বলেন, আমাদের সব সময় মোটামুটি যাত্রীর চাপ থাকে। কিন্তু এখন তুলনামূলক অনেক বেশি। প্রথমে ভেবেছিলাম কোনো অনুষ্ঠান মনে হয়। তাই যাত্রীর চাপ বেশি। পরে জানতে পারলাম করোনাভাইরাসের ভয়ে সবাই গ্রামে ছুটছেন। করোনাভাইরাসের কারণে দেশ ট্রাভেলস বন্ধ আছে। আমার মনে হয় সব গাড়িই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই যা টিকেট বিক্রির তা করে নিচ্ছি। আর এখন যাত্রীর চাপ অনেক বেশি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বলেন, দুই একটি ছোট কারখানা কাজের অভাবে নিভু নিভু করছিলো। সে সব কারখানা ছুটি দিয়েছে। এছাড়া যে সব কারখানা বিদেশি কাঁচামাল নির্ভর সে সব কারখানা কাঁচামালের অভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া যে সকল কারখানা খোলা আছে সে সকল কারখানায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সকল কারখানায় সতর্কতা শুধু মাস্ক পরিধানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সকল খোলা পোশাক কারখানায় প্রয়োজনীয় সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া আশুলিয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি লায়ন মোঃ ইমাম বলেন, আমাদের দেশে যে ক'জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে তারা কেউ প্রবাসী কেউ প্রবাসীর পরিবারের সদস্য। এই প্রাবাসীদের মাধ্যমে ভাইরাসটি বাংলাদেশে এসেছে বলে আমার মনে হয়। ঢাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী আছে তাই গ্রামকে সুরক্ষায় রাখতে ঢাকা থেকে গ্রামে না যাওয়াই ভালো। আমি মনে করে সতর্কতা অবলম্বন করলে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;