গৌরীপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু, পেঁয়াজের চাহিদা বেশি

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়, ছবি: সংগৃহীত

টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়, ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেজুতি ধর শনিবার (২১ মার্চ) উপজেলা পরিষদ চত্বরে টিসিবির নিয়মিত পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

সপ্তাহের শনি, রবি, সোমবার এই তিনদিন উপজেলা পরিষদ চত্বরে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করা হবে।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের কারণ দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন না। শনিবার সকাল থেকে টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভিড় জমান সাধারণ নাগরিকরা।

টিসিবির ট্রাকে পেঁয়াজ, মশুর ডাল, চিনি, সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রেতাদের মধ্যে পেঁয়াজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায় টিসিবির ডিলার আলী এন্টারপ্রাইজ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করছেন। পণ্য কিনতে ট্রাকের সামনে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারায় ক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। এ সময়, অধিকাংশ ক্রেতা শহরের একাধিক পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রির দাবি জানান।

টিসিবির চিনি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা,সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ৮০ টাকা ও পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ লিটার তেল, ১ কেজি ডাল, ৩ কেজি পেঁয়াজ ও ২ কেজি চিনি ক্রয় করতে পারবেন।

গৌরীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছিল। সেইসময় বাজারে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কর্মসূচি ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে।

টিসিবি’র ডিলার মেসার্স আলী এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটর মো. আলী হায়দার রবিন বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরুর প্রথম দিন থেকেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়। তবে এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্য দ্রব্যের তুলনায় পেঁয়াজটা বেশি বিক্রি হচ্ছে।