বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
করোনা মহামারি ঠেকাতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ২ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকরা।
শনিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সিদ্ধান্তে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। তবে ভারতের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশন খোলা থাকবে।
ইমিগ্রেশন অফিস থেকে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সিদ্ধান্তে জরুরি বৈঠক হয়। সেখান থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ভারত সরকার তাদের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরকে ২২-৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে। একই সাথে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ বিষয় বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দুই দেশের সিদ্ধান্তে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে। তবে ভারতে থাকা পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন।
বুড়িমারী চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, চীনে ‘করোনাভাইরাস’ মহামারি আকার ধারণ করায় স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিদিন দুইজন করে স্বাস্থ্যকর্মী পালাক্রমে এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। আটকে থাকা উভয় দেশের পাসপোর্টধারী নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারবেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বার্তা২৪.কম-কে বলেন, স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের কার্যক্রমও ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে ঠেকাতে স্থলবন্দরে ২২-৩১ পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।