ভারতে কারফিউ ঘোষণায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

সংক্রামক ব্যাধি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনতার কারফিউ জারি করায় রোববার (২২ মার্চ) বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে এ পথ দিয়ে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো শাখার কর্মকর্তা নাসিদুল হক বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে কারফিউ জারি করায় সকাল থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। বেনাপোল বন্দর থেকেও কোনো রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে যেতে পারছে না। তবে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান সজন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকার জনতার কারফিউ জারি করায় আজ সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে দুই-দেশের আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে তাদের বাণিজ্য থমকে দাঁড়িয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মহাসিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ভারত থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করছে। তবে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারিতে বাংলাদেশ থেকে গত ১৩ মার্চ বিকাল ৫টার পর হতে এ পর্যন্ত সাধারণ কোনো বাংলাদেশি ভারতে যেতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ভারতীয়রা এখনও আসছেন। তবে তাদের মেডিকেলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার দেশ-বিদেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। তবে করোনা আতঙ্কের কারণে এখন তার সংখ্যা কম। এছাড়া প্রতিদিন এ পথে প্রায় ৪ শতাধিক ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়, ভারতে রফতানি হয় দুই শতাধিক ট্রাক পণ্য। প্রতিদিন আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে।