২৭ মার্চ পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য বন্ধ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ঘোষণায় সোমবার (২৩ মার্চ) থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ।এতে দু’পারের বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় সহস্রাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। তবে দু’দেশের মধ্যে স্বল্প পরিসরে এখনো পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল করছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, ‘যারা ভারতে গিয়েছিলেন এবং যারা বাংলাদেশে এসেছিলেন তারাই কেবল ঘরে ফিরছেন। দু’দেশের সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারিতে নতুন করে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।’
বেনাপোল বন্দরে রফতানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালক আলামিন বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ আমদানি-রফতানি বন্ধে আমরা বেকায়দায় পড়েছি। এখন পণ্য নিয়ে পাঁচদিন বন্দরে আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। পণ্য খালাসের একদিন সময় পেলে আমাদের উপকার হতো।’
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস সচল রয়েছে। ২৮ মার্চ থেকে পুনরায় আমদানি-রফতানি শুরু হবে।’
ভারত ফেরত বাংলাদেশি যাত্রী আরিফ হোসেন বলেন, ‘ভারতে লকডাউন জারিতে যানবাহন সংকটে ঘরে ফিরতে বেকায়দায় পড়ছি। নানান জটিলতা পার করে আমাদের ফিরতে হচ্ছে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতায় দেশের ফেরার সময় ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের ১৪ দিন বাধ্যতা মূলক ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়ে বাড়িতে সঙ্গরোধে থাকতে সিল লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
প্রতিবছর এ বন্দরের আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। আর পাসপোর্ট যাত্রীর ভ্রমণ কর বাবদ আয় হয় প্রায় শত কোটি টাকা।